• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মহামারিতে জন্মানো শিশুর বুদ্ধিমত্তা তুলনামূলক কম!


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২১, ০২:৪৫ পিএম
মহামারিতে জন্মানো শিশুর বুদ্ধিমত্তা তুলনামূলক কম!

করোনা মহামারিতে পাল্টে গেছে জীবনযাত্রা। বড়রা পরিস্থিতি বুঝে নিজেদের সামলে নিলেও বাচ্চারা মহামারির সময়টাতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে মহামারির সময়ে জন্ম নেওয়া শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের বুদ্ধিমত্তার লেভেল তুলনামূলক কম দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

সম্প্রতি আমেরিকার এক দল গবেষক জানান, মহামারির আগে জন্ম নেওয়া শিশুদের বুদ্ধিমত্তা থেকে করোনার সময় জন্ম নেওয়ার শিশুদের বুদ্ধিমত্তার লেভেল তুলনামূলক কম। বাইরের জগতের সঙ্গে বাচ্চাদের মেলামেশা বন্ধ হওয়া এবং বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে কম কথা বলাকেই এর কারণ মনে করছেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডের ৬৭২ জন শিশুর ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। এদের মধ্যে ১৮৮ জনের জন্ম ২০২০ সালের জুলাই মাসের পর। আর ৩০৮ জনের জন্ম হয়েছে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে। ১৭৬ জনের জন্ম হয়েছে ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে। এসব বাচ্চাদের কোনও প্রকার প্রতিবন্ধকতা ছিল না।

করোনা মহামারির আগে জন্ম নেওয়া ৩ মাস থেকে ৩ বছরের বাচ্চাদের ওপরে গবেষনা করার পর দেখা গেছে, তাদের ন্যূনতম IQ স্কোর আসছে ১০০-র কাছাকাছি। কিন্তু মহামারিতে জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, তা ৭৮ এর উপর উঠছে না।

গবেষকরা জানান, জন্মের পরই প্রথম কয়েক বছর বাচ্চাদের জ্ঞানচর্চার বিকশিত হয়। নতুন কিছু শেখা, বাইরের জগতের সঙ্গে সামঞ্জস্য হওয়ার শিক্ষাটাও শিশুরা জন্মের পর ধীরে ধীরে আয়ত্ত করতে শিখে। কিন্তু মহামারিতে শিশুদের ঘরে চার দেয়ালের মাঝেই বড় করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জ্ঞানের বিকাশ ঘটছে না বলে এই গবেষণায় দাবি করা হয়।

গবেষনায় দেখা গেছে, মহামারির আগে জন্ম নেওয়া শিশুদের থেকে এই সময়কার শিশুদের কগনিটিভ ডেভেলপমেন্ট অনেকটাই কম। যাদের আর্থসামাজিক দিকটা একটু দুর্বল তাদের সমস্যা আরও অনেক বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির শিশুরোগ (গবেষণা) বিভাগের অ্যাাসোসিয়েট প্রফেসর সিয়ান দেওনি বলছেন, "মহামারি পরিস্থিতিতে বাড়িতে সেভাবে উদ্দীপনা থাকে না এবং বাইরের জগতের সঙ্গে সম্পর্কও থাকে না। এতে বাচ্চাদের কগনিটিভ ডেভেলপমেন্ট অনেকটাই কম হচ্ছে।"

দেওনি বলছেন, এই যে IQ কম আসছে, তা আপাতদৃষ্টিতে কারও পক্ষেই বোঝা সম্ভব নয় যতক্ষণ না পর্যন্ত বড় কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

মহামারিতে বাচ্চাদের বুদ্ধিমত্তার উপর এই নেতিবাচক প্রভাবের কারণ জানিয়ে দেওনি বলেন, "বাড়ি এবং কাজ এই দু'টো দিক সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন অনেকে। এতে বাচ্চারা কথা বলার কাউকে পাচ্ছে না। এটাও বাচ্চাদের IQ লেভেল কম হওয়ার অন্যতম কারণ।"

তবে বাচ্চাদের কম IQ লেভেলের সুদূরপ্রসারী প্রভাব আছে কি না তা সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানান নি এই গবেষক।

 

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Link copied!