ভিটামিন সির অভাবজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি

সুস্থ থাকতে হলে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পূরণ করা জরুরি। আর প্রয়োজনীয় ভিটামিনের একেবারে শুরুতেই থাকে ভিটামিন সির নাম। এই ভিটামিনের বিজ্ঞানসম্মত নাম হলো অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। ভিটামিন সি শরীরকে সুস্থ রাখতে নানাভাবে সাহায্য করে। নিয়মিত ভিটামিন সি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

মূলত খাবারের মাধ্যমেই ভিটামিন সি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। কিন্তু আমরা যদি অস্বাস্থ্যকর বা অপুষ্টিকর খাবার খাই, তবে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি শরীরে পৌঁছাতে পারে না। আর তখনই দেখা দেয় নানা সমস্যা।

চলুন জেনে নেওয়া যাক ভিটামিন সির অভাবে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি সম্পর্কে

 ক্ষুধা কমে যাওয়া

ভিটামিন সির অভাবে প্রথমেই দেখা দেয় ক্ষুধামান্দ্য বা খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে যাওয়া। যখন আপনি প্রয়োজনীয় খাবারটুকু খাওয়ার আগ্রহও হারিয়ে ফেলবেন, বুঝতে হবে যে আপনার শরীরে ভিটামিন সির ঘাটতি হচ্ছে।

থাইরয়েডের সমস্যা

ভিটামিন সির ঘাটতি হলে দেখা দিতে পারে থাইরয়েডের সমস্যা। এ সময় থাইরয়েড হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে। এই সমস্যার নাম হলো হাইপার থাইরয়েডিজম। হাইপার থাইরয়েডিজমের কারণে ক্ষুধা কমে যাওয়া, বুক ধড়ফড় করাসহ আর অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রাখুন।

ত্বকের সমস্যা হতে পারে

ত্বকে যদি তেমন কোনো কারণ ছাড়াই একের পর এক সমস্যা লেগে থাকে, তবে বুঝতে হবে ভিটামিন সির ঘাটতি হচ্ছে। কারণ, এই ভিটামিনের অভাবে হতে পারে ত্বকের নানা রোগ। সেখান থেকে ত্বকের জ্বালাপোড়া, চুলকানি ইত্যাদিও হতে পারে।

মাড়ি থেকে রক্ত পড়তে পারে

ভিটামিন সির ঘাটতির আরেকটি লক্ষণ হতে পারে মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া। কারণ, ভিটামিন সি দাঁতকে তো ভালো রাখেই, সেই সঙ্গে ভালো রাখে মাড়ির স্বাস্থ্যও। তাই আপনার মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়লে এর বড় কারণ হতে পারে ভিটামিন সির অভাব। প্রতিদিন পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রাখুন খাবারের তালিকায়।

হতে পারে অ্যানিমিয়া

অ্যানিমিয়া মোটেই হেলাফেলা করার মতো অসুখ নয়। মারাত্মক এই অসুখ হতে পারে ভিটামিন সির ঘাটতির কারণে। আমাদের শরীরে আয়রন শোষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ভিটামিন। শরীরে যখন আয়রন শোষণ কম হয় তখন দেখা দিতে পারে অ্যানিমিয়া। এর ফলে কমে যায় লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ।

ভিটামিন সির ঘাটতি মেটাতে যা করবেন

ভিটামিন সি-যুক্ত যেকোনো ফল যেমন পাতি লেবু, জাম্বুরা, কমলা প্রতিদিন খেতে হবে। এছাড়া পেয়ারায়ও থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। আবার অন্য সব ফলেও কিছু না কিছু ভিটামিন সি থাকে। সেগুলোও রাখুন খাবারের তালিকা। কাঁচা মরিচ, পালংশাক খাবেন নিয়মিত। বেশির ভাগ ভিটামিন সির জন্য ফল খাওয়াই উত্তম। মূল খাবার খাওয়ার দেড়-দুই ঘণ্টা পর ফল খাবেন।

সূত্র: প্রথমআলো