• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
বিশ্ব ডিম দিবস

প্রতিদিন ডিম খাই, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২১, ১২:০৫ পিএম
প্রতিদিন ডিম খাই, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই

আজ বিশ্ব ডিম দিবস। প্রতিবছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্ব ডিম দিবস পালিত হয়। সেই অনুযায়ী এই বছর ৮ অক্টোবর শুক্রবার পালিত হচ্ছে দিবসটি।

এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘প্রতিদিন ডিম খাই, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই।’ কারণ ডিম এমন এক খাবার যা থেকে সহজেই প্রয়োজনীয় প্রোটিন পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা, সুস্থ দেহের জন্য় দৈনিক খাদ্যতালিকায় ডিম রাখার পরামর্শ দেন।

১৯৯৬ সালে প্রথমবার বিশ্বব্যাপী ডিম দিবস পালিত হয়। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় আন্তর্জাতিক এগ কমিশনের কনফারেন্সে  দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ প্রতিবছর দিবসটি পালন করে আসছে। দিবসটির উদ্দেশ্য ডিমের খাদ্যমান ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে মানুষকে জানানো। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসম্মত ডিম উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ভোক্তার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ডিম অন্তর্ভুক্তি উৎসাহিত করা।

বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশও ডিম দিবস পালন করে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, ওয়ার্ল্ডস পোলট্রি সায়েন্সেস অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা দিবসটি পালন করছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রতিবছরই চাহিদার সঙ্গে ডিমের উৎপাদনও বাড়ছে। ২০০৯ সালে দেশে ডিমের উৎপাদন ছিল ৫৭৪.২৪ কোটি। ২০১৯-২০ সালে এই সংখ্যা বেড়ে ১৭৩৬ কোটিতে দাঁড়ায়।

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০ বাস্তবায়নে জনপ্রতি দুধ, মাংস ও ডিম যথাক্রমে ২৭০মিলি, ১৫০গ্রাম এবং ১৬৫টি বছরে ধরা হয়েছে। দেশে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-৪১) বাস্তবায়নের মাধ্যমে রূপকল্প-২০৪১ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে জনপ্রতি দুধ ৩০০ মিলি, মাংস ১৬০ গ্রাম ও ডিম ২০৮টি বছরে ধরা হয়েছে।

এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ডিম উৎপাদনের একটি প্রাক্কলন করেছে। সে হিসাব অনুযায়ী ২০৩১ সাল নাগাদ দেশে ডিমের বার্ষিক উৎপাদন হবে প্রায় ৩২৯৩.৪ কোটি এবং ২০৪১ সাল নাগাদ ৪৬৪৮.৮ কোটি।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমান বলেন, “ডিমের বাজার বড় হয়েছে। তবে অনেক উচ্চশিক্ষিত মানুষের মধ্যেও কিছু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে ডিমের পুষ্টিগুণনির্ভর করে ডিমের আকার এবং ওজনের ওপর। এছাড়া ডিম খেলে হৃদরোগের ধারণাও করেন অনেকে। তা ঠিক নয়। ডিম নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা দূর করা প্রয়োজন। এই উদ্দেশ্যে আমরা সেমিনার, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।”

২০১৩ সালের জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার এক প্রতিবেদনে ডিমের স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে জানায়। প্রতিবেদনের বলা হয়, ডিম খাওয়ার সঙ্গে হৃদরোগের কোনো সম্পর্ক নেই। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পুষ্টিমান অনুসারে, বছরে একজন মানুষকে কমপক্ষে ১০৪টি ডিম খেতে হবে।

Link copied!