জ্বরের সময় অনেকেরই ঠোঁটের কোণে ঘা হয়। আমরা একে জ্বরঠোসা বলে থাকি। ঠোঁটের কোণে, বর্ডারে বা বর্ডারের আশপাশে গুচ্ছবদ্ধ ফুসকুঁড়ির মতো দেখা যায়। মুখের এই ঘা অস্বস্তিকর। খেতে অসুবিধা হয়, ঠোঁট জ্বালাপোড়া করে, ঠোঁট বারবার শুকিয়ে যায়। অনেক সময় শরীরের ভেতরে জ্বর হলে জ্বরঠোসা হয় কিংবা ঠান্ডা লাগলেও জ্বরঠোসা হতে পারে।
ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে এই জ্বরঠোসা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, তা জানাব আজকের আয়োজনে।
- বাড়িতে আপেল সিডার ভিনেগার থাকলে মিলবে সমাধান। নরম পরিষ্কার কাপড় অল্প ভিনেগারে ভিজিয়ে ঠোঁটের জ্বরঠোসায় লাগিয়ে নিন। অল্প সময়েই প্রদাহ অনেক কমে যাবে।
- রান্নাঘরে রসুন তো সবারই থাকে। রসুনের এক কোয়া ভালো করে বেটে নিয়ে ঘায়ের ওপর দিন। দিনে দুই থেকে তিনবার রসুনবাটা ব্যবহার করুন। মুক্তি পাবেন।
- মুখের এ ক্ষতের ওপর মধু লাগালেও সমাধান পাবেন। মধু ঘায়ের প্রদাহ কমাবে। দিনে অন্তত দুবার মধু ব্যবহার করুন।
- সুতির কাপড় নারিকেল তেলে ভিজিয়ে ক্ষতস্থানে হালকা চেপে চেপে লাগান। সম্ভব হলে প্রতি ঘণ্টায় একবার ব্যবহার করুন।
- কটন বাট দুধে ভিজিয়ে ঘায়ের ওপরে লাগিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। দুই ঘণ্টা পরপর ব্যবহার করুন। উপশম পাবেন।
- মুখের যেকোনো সমস্যায় টি-ট্রি অয়েল খুবই উপকারী। তেমনই ইনফেকশন থেকেও রক্ষা করতে পারে টি-ট্রি অয়েল। মুখ ভালো করে ধুয়ে তুলায় করে টি-ট্রি অয়েল লাগিয়ে নিন। ঘা সেরে উঠবে।
- লেমন এসেন্সিয়াল অয়েলও বেশ উপকারী। এটি ঘা-পাঁচড়া রয়েছে নিরসন করে। বাজার থেকে খুব সহজে সংগ্রহ করতে পারবেন এই অয়েল। তুলাতে সামান্য লেমন এসেন্সিয়াল অয়েল নিয়ে ক্ষতস্থানে চেপে চেপে লাগান।