চলছে বর্ষাকাল। বৃষ্টিবিলাসী না হলেও ভিজতে হয়ই কোনো না কোনো কারণে। অনেকের তো একটু ভিজলেই শুরু হয়ে যায় ঠান্ডা-কাশি-সর্দি। এসবের চিকিৎসাও রয়েছে আপনার রান্নাঘরেই। পরিত্রাণ পেতে তেজপাতা বেশ কার্যকরী।
এ ক্ষেত্রে তেজপাতা পরিষ্কার করে তেল মেখে একপাশে আগুন লাগিয়ে সেই ধোঁয়া ভাপের মতো নিলেই কমে যাবে কাশির তীব্রতা। কাশি কমানো ছাড়াও ‘অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল’ উপাদান সমৃদ্ধ তেজপাতা আরও অনেক উপকারে আসে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এর উপকারিতাগুলো-
- তেজপাতা প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি যেকোনো ধরনের মাথাব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা এমনকি বাতের ব্যথা উপশমে কার্যকরী।
- তেজপাতায় রয়েছে রুটিন ও ক্যাফেক অ্যাসিড। এ উপাদানগুলো হার্টের দেয়ালকে মজবুত করে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
- যদি দিনের শেষে আপনার মন-মেজাজ ভালো না লাগে তাহলে এক কাপ তেজপাতার চা খেয়ে দেখতে পারেন। এটি স্নায়ু শান্ত করে ও উদ্বিগ্নতা কমায়।
- খুশকি ও চুল পড়ে যাওয়া নিয়ে বিপাকে আছেন? চুলের যত্নে তেজপাতায় রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কয়েকটি তেজপাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করুন। কিছুক্ষণ ঠান্ডা হতে দিন। এবার এ পানি দিয়ে চুল ও স্কাল্প ধুয়ে ফেলুন। অবশ্যই শ্যাম্পু করার পর এটি করবেন।
- ঠান্ডা ও কাশির সমস্যায় ব্যাকটেরিয়া তাড়াতে ৪ থেকে ৫টি তেজপাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করুন। পানি কুসুম ঠান্ডা করে নিন। একটি পরিষ্কার কাপড় পানিতে ভিজিয়ে বুক মুছুন। কয়েকবার এটি করুন। আর খেয়াল রাখবেন পানি যেন খুব বেশি গরম না হয়।