মৌসুমি ফল হিসেবে জামের জনপ্রিয়তা কম নয়। দেখতে কালো ফলটি খেতে খুব ভালো। ঘরোয়া অবসরে তো কথাই নেই। জম্পেশ জমে আড্ডার আসর। আবার পুষ্টিগুণও অতুলনীয়।
গবেষণা থেকে দেখা যায়, জাম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি নিম্ন গ্লাইসেমিক ইনডেক্সসমৃদ্ধ ফল বলে রক্তে সুগার লেভেল স্বাভাবিক রাখে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি জামের বীজ ইনসুলিনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।
উচ্চরক্তচাপে ভুগছে এমন রোগীদের জন্য জাম মহৌষধ। জামে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। প্রতি ১০০ গ্রাম জামে প্রায় ৫৫ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে।
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ক্যানসার সৃষ্টির অন্যতম কারণ। আর এটি থেকে রক্ষা পেতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল খুব কার্যকর। জামের মতো গাঢ় রঙের ফলে থাকা প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
হাড় ও দাঁত ভালো রাখতে খেতে পারেন জাম। কারণ জামে রয়েছে ক্যালসিয়াম। এ ছাড়া জামে বিভিন্ন বি-ভিটামিন রয়েছে যা খাদ্য বিপাকে সাহায্য করবে।