বাঙালির প্রিয় খাবার ভাত। ভাতের মাড় মানবদেহের জন্য বেশ উপকারী। তাই বসা ভাতে ষোলআনা পুষ্টি পাওয়া যায়। কিন্তু ভাত বসানোর আগে চাল ধোয়া পানিও কিন্তু বেশ উপকার দেয়।
চাল ধোয়া পানি বেশিরভাগ সময়ই ফেলে দেওয়া হয়। চালের ময়লা পরিস্কার করতে বার বার ধোয়া হয়। এরপর পানি ফেলে পরিস্কার পানিতে ভাত রান্না হয়। চাল ধোয়ার সেই পানি ফেলে না দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখুন। কারণ এটির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। ত্বক, চুল এমনকি শরীরের এনার্জি বাড়াতে এতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি এবং নিউট্রিশন। যা থেকে আপনি অনেক উপকার পাবেন_
- চাল ধোয়ার পানি হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাছাড়া যারা অপুষ্টি ও কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন তারা চাল ধোয়া পানি খেলে উপকার পাবেন।
- অল্প পরিমাণে ভাত খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে এনার্জি পেতে এক গ্লাস চাল ধোয়া পানি খেতে পারে। রোজ সকালে ক্যাফেইন ফ্রি পানীয় খেতে হলে, এই পানীয় খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি শরীরের অলসতা দুর করবে।
- চাল ধোয়া পানিতে ইনোসিতল নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। যা চুলের জন্য় বেশ উপকারী। চাল ধোয়া পানি দিয়ে চুল ধুলে তা ঝলমলে হয়। গোড়া থেকে শক্তিশালী হয়। এতে ভিটামিন ই উপস্থিত থাকে। যা স্ক্যাল্পে চুলকানি, ফুসকুড়ি থেকে রেহাই দিবে।
- ব্রণ কিংবা মুখে র্যাশ দূর করতেও চাল ধোয়া পানি বেশ উপকারি। এটি ত্বকের চুলকানি কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে লোমকূপের গোঁড়া উন্মুক্ত করে ত্বকের সমস্যা দূর করে।
- চাল ধোয়া পানিতে অ্যামিনো অ্যাসিড, মিনারেলস এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা জেল্লাযুক্ত ত্বকের পক্ষে বেশ কার্যকরী। ত্বকের বয়স কমাতে এই পানি ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে রিংক্লেস দেখা দিলে সেই স্থানে চাল ধোয়া পানি লাগিয়ে নিন। ভালো কাজ হবে।
- চাল ধোয়া পানি খেলে ডায়রিয়া ভালো হয়ে যাবে। এছাড়া এটি শরীর হাইড্রেটেড রাখতেও বেশ কার্যকর।