• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঘুমসংক্রান্ত সমস্যাগুলো জেনে নিন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২১, ০৪:২৪ পিএম
ঘুমসংক্রান্ত সমস্যাগুলো জেনে নিন

মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখে ঘুম। খাদ্য, পানীয় ও অক্সিজেনের পাশাপাশি মানুষের পর্যাপ্ত ঘুমও দরকার। দৈনন্দিন ব্যস্ততার ফাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার স্বাভাবিক প্রক্রিয়াই হলো ঘুম। ঘুমের সময় উত্তেজনায় সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়। শরীরের সব অংশের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। ঘুমসংক্রান্ত কী ধরনের সমস্যাগুলো, তা কী জানেন? এগুলোর ভিন্ন ভিন্ন নামও রয়েছে। ঘুমসংক্রান্ত এসব নিয়ে আলোচনা করব এই আয়োজন।  

ইনসোমনিয়া

ঘুম আসতে দেরি হওয়া, রাতে একটানা না ঘুমাতে পারা বা খুব সকালে ঘুম ভেঙে যাওয়া বা পুনরায় ঘুমাতে না পারা। এই অসুবিধাগুলো কমপক্ষে ৩ মাস ও সপ্তাহে ৩ দিন ধরে চললে তাকে ইনসোমনিয়া হিসেবে ধরে নেওয়া যেতে পারে। 

হাইপারসমোনেন্স

রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হওয়ার পরেও দিনের বেলা অত্যধিক ঘুম আসা। এছাড়া রাতের বেলা ৯ ঘণ্টা বা তার অধিক  ঘুম হওয়ার পরেও সকালে অত্যধিক ক্লান্ত লাগা। 

নারকোলেপ্সি

ব্যক্তির অপর্যাপ্ত ঘুম হয় ও দিনের বেলা ক্লান্ত লাগে না। কিন্তু দিনের যেকোনো সময় ঘুমানোর তীব্র ইচ্ছা জাগে এবং যেকোনো সময় ঘুমিয়ে যায়। 

স্লিপ এপোনিয়া

ব্যক্তির পর্যাপ্ত ঘুম হয় কিন্তু বিশ্রাম হয় না। ঘুমের মধ্যে ব্যক্তির অসংখ্যবার নিশ্বাস অবরুদ্ধ হয়ে কয়েক মিনিটের জন্য ঘুম ভেঙে যায়। পাশাপাশি আরও কিছু লক্ষণ দেখা যায় যেমন– নাকডাকা। 

প্যারাসোমনিয়া

ঘুমের মধ্যে কিছু সমস্যা দেখা যায়। যেমন স্লিপ ওয়াকিং, নাইট টেরর ইত্যাদি।  স্লিপ ওয়াকিং এ আক্রান্ত ব্যক্তি ঘুমের মধ্যে চলাফেরা করে বা খাবার খায়৷ আর নাইট টেররের ক্ষেত্রে ব্যক্তির প্রচণ্ড ভয় পেয়ে ঘুম ভেঙে যায়। তবে উভয় সমস্যার ক্ষেত্রে, ব্যক্তি জাগ্রত হওয়ার পর কিছুই মনে করতে পারে না। 

দুঃস্বপ্ন

স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন মানুষের জীবনের একটি স্বাভাবিক ঘটনা। ঘুমের ঘাটতি থাকা, বিভিন্ন মানসিক চাপের মধ্যে থাকা, পিটিএসডি বা বিভিন্ন কারণে মানুষের দুঃস্বপ্ন হতে পারে।

Link copied!