ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে ফোড়া হয়। শরীরের বিভিন্ন অংশেই এই ফোড়া হতে পারে। এমনকি বাদ যায় না গোপনাঙ্গও। নারীদের গোপনাঙ্গে ফোড়া হলে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হয়। লালচে রঙের ফোড়ার ভেতর পুঁজও জমে থাকে। সারাক্ষণ বদ্ধ থাকার কারণে ফোড়ার ব্যথাও বাড়ে। জ্বর, যোনির প্রবেশদ্বারে ব্যথা, যৌনমিলনের সময় কষ্ট, এমনকি বসা ও হাঁটাচলায় ব্যথা অনুভব হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানান, গোপনাঙ্গের ফোড়াগুলো একই স্থানে হয়ে থাকে। বার্থোলিন গ্রন্থি যোনির প্রবেশদ্বারের নিচে বাঁ ও ডান দিকে থাকে। এই গ্রন্থিই যোনির পিচ্ছিলতা বাড়ায়। বিভিন্ন কারণে গ্রন্থির মুখটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তখন তরল ক্ষরণের প্রক্রিয়ায় বাধা পড়ে। এটিকে বলা হয় `বার্থোলিন সিস্ট`। এর ফলে গ্রন্থিতে জমে থাকা তরল পদার্থটি ব্যাকটিরিয়ার দ্বারা সংক্রমিত হয়। যাকে বার্থোলিন অ্যাবসেস বলা হয়।
গোপনাঙ্গে ফোড়ার উপসর্গ
নিম্নাঙ্গের বাঁ কিংবা ডান দিকে ব্যথা হলে বুঝে নেবেন ফোড়া হয়েছে। তাছাড়া ফোলা ভাবও অনুভূত হবে। ফোড়াটি ফেটে গেলে ব্যথা কিছুটা কমবে। কিন্তু তা আবারও হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। বার্থোলিন গ্রন্থির সক্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই গোপনাঙ্গে ফোড়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই ফোড়া থেকে বার্থোলিন গ্ল্যান্ডে ক্যানসারের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। প্রতিকারের জন্য অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এই গ্রন্থিকে কেটে দেওয়া হয়।
যেভাবে মুক্তি মিলবে গোপনাঙ্গের ফোড়া থেকে
গোপনাঙ্গের ফোড়া হয়েছে তা টের পেলেই অবহেলা করা যাবে না। হালকা গরম পানি দিয়ে গোপনাঙ্গ ধুয়ে নিন। সারাদিন ১০ মিনিট পরপর এটি করুন। তাছাড়া দিনে অন্তত ৪ বার ফোড়ার উপর গরম সেঁক দিয়ে নিতে পারেন। এতে ব্যথায় আরাম পাবেন।
গোপনাঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক সাবান ব্যবহার করুন। ফোড়ার চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শে মলম ব্যবহার করতে পারেন। এরপরও না কমলে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেই পদক্ষেপ নিন।
সূত্র: উইমেন্স হেলথ