করোনা ভাইরাসের মহামারি আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠছে। নতুন ঢেউ হানা দেওয়ার শঙ্কা করছেন অনেকে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। থেমে নেই বাংলাদেশেও। সংক্রমণের গতি বাড়ছে ধীরে ধীরে। করোনায় মৃত্যু শূন্য বাংলাদেশে এখন মৃতের শঙ্কাও ছড়িয়ে পড়ছে।
করোনা মহামারির এই নতুন ঢেউয়ের মধ্যে শঙ্কা ছড়াচ্ছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট ‘বিএ.৪ ও বিএ.৫’। সম্প্রতি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক নতুন এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত করেছেন।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশি দুই জনের মধ্যে নতুন এই সাব ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা হয়েছে বলেও জানান যবিপ্রবি সেই গবেষকরা। যবিপ্রবির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) আবদুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে নতুন সাব ভ্যারিয়েন্টের তীব্রতা নিয়ে সীমিত তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার রিপোর্টের ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা জানান, বিএ.১ এর তুলনায় বিএ.৪ ও বিএ.৫ এ আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু হওয়ার শঙ্কা কম। তবে এটি দ্রুত ছড়ায়।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যেখানে দেখা যায়, ওমিক্রনের বিএ৪- বিএ.৫ ও বিএ.২.১২.১ সাব ভ্যারিয়েন্ট অতীত সংস্করণের তুলনায় বেশি সংক্রামক।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিএ.৪ ও বিএ.৫ ভেরিয়েন্ট রোগীর জন্য গুরুতর নয়, তবে এটি ছড়ায় বলে সংক্রমণ বেশি হতে পারে। এটি ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য উপসর্গও অনেকাংশে কম থাকে।
তবে নতুন এই সাব ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সচেতন হওয়া জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। শরীরের ধরণ অনুযায়ী এই ভ্যারিয়েন্টেও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে কারো ক্ষেত্রে।
বিএ৪- বিএ.৫ রক্ষায় যা করতে হবে
করোনার টিকা ও বুস্টার ডোজ গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। যারা এখনও করোনা টিকা দেননি তারা অবিলম্বে টিকার সব ডোজ করবেন। সেই সঙ্গে নিয়মিত মাস্ক পরা, হাত ও ব্যবহৃত সবকিছু স্যানিটাইজ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: টাইম