প্রযুক্তির এই যুগে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ সবার হাতে হাতে। সব বাড়িতেই ইন্টারনেট কানেকশন। সব সমস্যার সমাধান এখন মোবাইল। বাচ্চাদেরও ভুলিয়ে রাখা যায় ফোনে গান বা রাইমস চালিয়ে। তবে বিপত্তিটা ঘটে যখন দেখি দেখা যায়, আপনার পাঁচ বছরের শিশুটিও ফোনে কাহিনিচিত্র, গেম, মিউজিকে চরম আসক্ত হয়ে পড়ে।
এমন পরিস্থিতি কীভাবে সামলাবেন, কীভাবে প্রিয় সন্তানের আসক্তি নিয়ন্ত্রণ করবেন তা নিয়ে সমাধানের পথও কিন্তু খোলা। তবে তার আগে জানা জরুরি স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট আসক্তিতে কী কী ক্ষতি হতে পারে।
সমস্যা
* বেশি আসক্তি শিশুকে আত্মঘাতী করতে পারে।
* কোনো বিষয়ে অমনোযোগী করে তোলে।
* শ্রবণশক্তি কমে যাবে।
* চোখের দ্যুতি কমে যাবে।
* স্পিচ ডিসওর্ডার হতে পারে।
* অটিজমের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
আসক্তি কমানোর উপায়
১. পারিবারিকভাবে গুণগত সময় কাটান। যেমন: একসঙ্গে খাবার খাওয়া, গল্প করা, ছুটিতে কোথাও ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদি।
২. বাচ্চাকে সময়ানুবর্তী হতে শেখান। সময়ের মূল্য ছোট থেকে বুঝতে শিখলে স্মার্টফোন চালিয়ে তারা আর সময়ের অপচয় করবে না।
৩. শিশুর জন্য সময় বের করুন। জীবনে ব্যস্ততা থাকবেই। তাই বলে নিজের সন্তানকে সময় দিতে ভুলে যাবেন না।
৪. বেশি বেশি বই পড়া উৎসাহিত করুন। সন্তানের বয়স অনুযায়ী বই কিনে দিন। আশেপাশে কোনো লাইব্রেরি থাকলে সেখানেও নিয়ে যেতে পারেন।
৫. শিশুকে সৃজনশীল কাজে উৎসাহিত করুন। ছবি আঁকা, নাচ, গান, ক্রাফটিং ইত্যাদি কাজে উৎসাহ দিন।
৬. সন্তানদের কিছু জীবন-দক্ষতা বাড়ানোর কর্মসূচিতে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন।
৭. নিবিড়ভাবে সন্তানের সমস্যাগুলো জানুন। তার জন্য ইতিবাচক পরিবেশ নিশ্চিত করুন।
৮. শিশুদের মোবাইল ব্যবহারের সময় নির্ধারণ করে দিন।