• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

যেসব লক্ষণ দেখা দিলেই বুঝবেন ডেঙ্গু


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২৩, ০৩:৩৪ পিএম
যেসব লক্ষণ দেখা দিলেই বুঝবেন ডেঙ্গু

এই ঋতুতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ঘটে ডেঙ্গু ভাইরাসের মাধ্যমে। এই ভাইরাসের বাহক এডিস নামক স্ত্রী মশা। এর কামড়েই ডেঙ্গু হয়। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ালে ৩-১৩ দিনের মধ্যে জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক জেনে নিন ডেঙ্গুর জ্বরের লক্ষণগুলো-

  • ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর ও সেই সঙ্গে সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়ে থাকে। জ্বর ১০৫ ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • তীব্র পেটে ব্যথা হতে পারে।
  • শরীরের হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি এবং মাংসপেশীতে তীব্র ব্যথা হয়। মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়।
  • এই জ্বরের আরেক নাম ‘ব্রেক বোন ফিভার’।
  • জ্বর হওয়ার ৪ বা ৫ দিনের সময় সারা শরীরজুড়ে লালচে দানা দেখা যায়। যা অনেকটা এলার্জি বা ঘামাচির মতো।
  • বমি বমি ভাব, এমনকি বমিও হতে পারে।
  • রোগী অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করে ও রুচি কমে যায়।
  • সাধারণত ৪ বা ৫ দিন জ্বর থাকার পর তা এমনিতেই চলে যায়। কারও ক্ষেত্রে ২ বা ৩ দিন পর আবারো জ্বর আসে। যাকে বাই ফেজিক ফিভার বলে।

ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর

রোগীর এই অবস্থাটি সবচেয়ে জটিল। এই জ্বরে ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গের পাশাপাশি আরও সমস্যা দেখা দেয়। শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত পড়া শুরু হয়। যেমন- চামড়ার নিচে, নাক ও মুখ দিয়ে, মাড়ি ও দাঁত হতে, কফের সঙ্গে, রক্তবমি, পায়খানার সঙ্গে তাজা রক্ত বা কালো পায়খানা, চোখের মধ্যে এবং চোখের বাইরে, নারীদের বেলায় অসময়ে ঋতুস্রাব অথবা রক্তক্ষরণ শুরু হলে অনেকদিন পর্যন্ত রক্ত পড়তে থাকা ইত্যাদি।

এই রোগের বেলায় অনেক সময় বুকে পানি, পেটে পানি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। অনেক সময় লিভার আক্রান্ত হয়ে রোগীর জন্ডিস হয়। আবার কিডনি আক্রান্ত হয়ে রেনাল ফেইলিউর ইত্যাদি জটিলতা দেখা দিতে পারে।

ঘরে চিকিৎসা নিতে করণীয়-

  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম (জ্বর চলাকালীন এবং জ্বরের পর এক সপ্তাহ) নিতে হবে।
  • স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল খাবার খাবেন। যেমন-খাবার স্যালাইন, টাটকা ফলের রস ইত্যাদি।
  • এছাড়া গ্লুকোজ, ভাতের মাড়, বার্লি, ডাবের পানি, দুধ/হরলিকস, বাসায় তৈরি স্যুপ ইত্যাদি খেতে পারেন।

সবচেয়ে ভালো, লক্ষণগুলো দেখা দিলেই চিকিৎসকের কাছে চলে যাওয়া।

Link copied!