• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিশুর বিকাশে জাদুকরী তিশির তেল


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৪, ০৫:৩৬ পিএম
শিশুর বিকাশে জাদুকরী তিশির তেল
ছবি: সংগৃহীত

তিশির তেল শিশুদের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর। এর বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। তিশির তেলে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড (বিশেষ করে আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড বা ALA) শিশুদের শারীরিক এবং মানসিক উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে। তিসির তেলের জিংক শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট এও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই তেল বাচ্চাদের ব্রেইন বুস্টার হিসেবে কাজ করে। শিশুর খাবারে প্রচলিত ক্ষতিকর তেল ব্যবহার না করে তার বদলে অর্গানিক তিসির তেল ব্যবহার করুন। চলুন জেনে আসি, তিশির তেলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতাগুলো_

মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক 

তিশির তেলে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শিশুদের মস্তিষ্কের গঠন ও বিকাশে সহায়তা করে। এটি স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম উন্নত করে এবং মানসিক তীক্ষ্ণতা বাড়ায়। যা শিশুর শিখন ক্ষমতা ও মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়ক।

হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী 

তিশির তেল হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শিশুর রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।

ত্বক ও চুলের যত্ন 

তিশির তেল শিশুদের ত্বক ও চুলের জন্যও খুব ভালো। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে, চুলের গঠন মজবুত করতে সহায়তা করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক 

তিশির তেলে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। শিশুদের হজমের সমস্যায় এটি কার্যকর প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে কাজ করতে পারে।

ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে 

তিশির তেল শিশুর ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাবলী শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষা দেয় এবং শিশুকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

হাড়ের গঠন উন্নত করে 

তিশির তেলের উপাদানগুলো হাড়ের গঠন ও শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। এতে থাকা ওমেগা-৩ এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ শিশুদের হাড়ের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।

তিসির তেল খাওয়ানোর নিয়ম

শিশুর খাবারে আধা চামচ পরিমাণ তিসির তেল মিশিয়ে দিন। সেই খাবার শিশুকে খাওয়ালে উপকার হবে। খাবার রান্না করার সময় তিসির তেল ব্যবহার না করে, সরাসরি মিশিয়ে খাওয়ালেই বেশি উপকার পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বিশেষজ্ঞরা আরও জানান,  তিশির তেল শিশুদের ক্ষেত্রে সরাসরি খাওয়ানোর আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ অতিরিক্ত সেবন কিছু ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হতে পারে।

Link copied!