সারাদিন রোজা রাখার পর আমরা অস্বাস্থ্যকর খাবার ও পানিয়ের দিকে ঝুঁকে পড়ি। ইফতারির তালিকায় ভিটামিন ‘সি’যুক্ত তরল, সহজপাচ্য ও আঁশযুক্ত খাবার থাকা উচিত। তরল খাবারের তালিকায় থাকতে পারে তেঁতুলের শরবত, যা আপনার পুষ্টি চাহিদা মেটাবে। এবার জেনে নিই তেঁতুলের বিশেষ উপকারিতা ও শরবতের রেসিপি—
- রক্তের লোহিত কণিকা গঠনে এবং স্বাস্থ্যকর কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য বেশ উপকারী তেঁতুল। কারণ এটি খনিজ ও ভিটামিনে ভরপুর।
- ফাইবারে পূর্ণ তেঁতুল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- ১০০ গ্রাম তেঁতুলের পেস্ট প্রতিদিনের জরুরি ১৩-১৫ শতাংশ ফাইবারের চাহিদা পূরণ করে।
- ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে এমন ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানের বিরুদ্ধে কাজ করে তেঁতুলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
- রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে এনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকরী তেঁতুল।
- অ্যালকোহল বা বিষক্রিয়ায় আক্রান্তদের তেঁতুলের শরবত দিলে এর প্রভাব খুব দ্রুত কেটে যায়। এ ক্ষেত্রে তেঁতুল পুরোপুরি অ্যান্টিডোট হিসেবে কাজ করে।
- আমাদের দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের (এলডিএল) মাত্রা কমিয়ে এনে কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের যত্ন নেয় তেঁতুল। কারণ এতে রয়েছে ফেনোল আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। উপকারী কোলেস্টেরলের (এইচডিএল) পরিমাণ বাড়াতেও ভালো জানে এই ফল।
- পেটের সমস্যা নিরাময়ে বেশ কাজে দেয় তেঁতুল। দুই চা চামচ তেঁতুলের পেস্ট পানিতে গুলিয়ে খেলে আরাম পাওয়া যাবে।
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে আয়ুর্বেদের অন্যতম উপকরণ তেঁতুল।
- জ্বর ও শরীর ঠাণ্ডা হয়ে আসার মতো সমস্যায় ভেষজ চা বেশ উপকারী। এই চা আবার ভালো যদি এর সঙ্গে তেঁতুলের পাতা মেশানো যায়।
- তেঁতুলের শরবতে একটু পুদিনা পাতা মেশালে তা মুখের আলসার দূর করতে দারুণ কাজ দেয়।
তেঁতুলের শরবত
১৫০ গ্রাম তেঁতুল
পরিমানমত বিট লবণ
পরিমাণমত ভাজা জিরা গুড়া
পরিমাণমত মরিচ গুড়া
পরিমানমত চিনি/গুড়
পরিমানমত সাধারণ খাবার লবন
পরিমানমত ভাজা ধনিয়ার গুড়া
৪ কাপ পানি
যেভাবে বানাবেন
২ কাপ পানিতে ২ ঘন্টা তেঁতুল ভিজিয়ে রাখুন। এরপর হাত দিয়ে কচলে কাথ বের করে ছাকনি দিয়ে ছেকে নিন। এখন এর সাথে আরো ২ কাপ পানি ও বাকি সব উপকরণ দিয়ে চামচের সাহায্যে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।