থ্যালাসেমিয়া কী ও কেন হয়
থ্যালাসেমিয়া রক্তের এক ধরনের মারাত্মক রোগ। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের শরীরে রক্তের মূল্যবান উপাদান হিমোগ্লোবিন ঠিকমতো গঠিত হয় না এবং রক্তের লোহিত কণিকা স্বাভাবিক সময়ের আগে ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে রোগী রক্ত শূন্যতায় ভোগে ও শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে অতিরিক্ত আয়রন জমা হয়ে নানা ধরনের জটিলতার সৃষ্টি করে।
লক্ষণ
সাধারণত থ্যালাসেমিয়ার ধরণ আর তিব্রতার উপর লক্ষণ নির্ভর করে। কিছু কিছু শিশু জন্মগত ভাবেই থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ নিয়ে জন্মায়। আবার কেউ তার জন্মের ২ বছরের মধ্যে লক্ষণ দেখানো শুরু করে।
- অল্পতেই শরীর অবসন্ন হয়ে যাওয়া।
- দুর্বলতা অনুভব করা।
- চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া।
- মুখের হাড়ে অস্বাভাবিকতা দেখা যাওয়া।
- প্রস্রাবের রং গাঢ় হয়ে যাওয়া ও চোখের রং হলুদ হয়ে যাওয়া।
- খাওয়াতে অরুচি দেখা দেয়।
এগুলো সাধারণত থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ হয়ে থাকে।
কীভাবে বিস্তার লাভ করে
থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রোগ। যে বংশে এ রোগ আছে, সেই বংশের লোকজনই বংশানুক্রমে এটা বহন করে। পিতা মাতা থেকে সন্তানদের মধ্যে এ রোগ জিন এর মাধ্যমে প্রবেশ করে।
প্রতিকারে কিছু ঘরোয়া উপায়
থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হলে তেমন কোন ঘরোয়া উপায় নেই এটি প্রতিরোধের জন্য। কিন্তু অবস্থার যেন আরও অবনতি না ঘটে সেটার জন্য জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। যেমন—
- ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত আয়রন গ্রহন থেকে বিরত থাকতে হবে।
- থ্যালাসেমিয়ার হলে ফলিক এসিড আছে এমন খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
- নিজেকে ইনফেকশন থেকে নিরাপদ রাখার জন্য সবসময় জীবানুমুক্ত থাকতে হবে। জ্বর সর্দি বা ছোঁয়াচে অসুখে আক্রান্ত মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকুন।
- গর্ভধারণের পূর্বে থ্যালাসেমিয়ার আছে কিনা অবশ্যই ব্লাড টেস্ট করে নিশ্চিত হওয়া উচিত।