কেন কয়েল-অ্যারোসল ব্যবহার করবেন না


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৪, ০৫:৩৮ পিএম
কেন কয়েল-অ্যারোসল ব্যবহার করবেন না
সূত্র: সংগৃহীত

চারপাশেই ডেঙ্গু উপদ্রব বাড়ছে। মশা তাড়াতে কত উপায় ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে বাসা বাড়িতে কয়েল আর অ্যারোসলের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয়। কিন্তু বহুল ব্যবহৃত কয়েল ও অ্যারোসল স্বাস্থ্যের জন্য কতটা নিরাপদ, তা জানেন কি?

বিশেষজ্ঞরা জানান, মশা তাড়ানোর জন্য় কয়েল ও অ্যারোসল ব্যবহারের প্রচলন ব্যাপক হলেও এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটি স্বাস্থ্য-ঝুঁকি বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, কয়েলের ধোঁয়া সিগারেটের ধোঁয়ার মতোই ক্ষতিকর। কারণ কয়েল থেকে যে ধোঁয়া নির্গত হয়, তাতে কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাস থাকে।

আবার অনেক অ্যারোসল পণ্যে থাকা ডাইমিথাইল ফাথলেট এবং পাইরেথ্রিনস জাতীয় রাসায়নিকগুলো দীর্ঘমেয়াদে স্নায়ুতন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে। ঘরের ভেতরে এ ধরনের স্প্রে ব্যবহারে বাতাসে বিষাক্ত কণা ভাসতে থাকে। যা শিশু, বয়স্ক ও শ্বাসকষ্টের রোগীতের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

কয়েলের ধোঁয়া ও অ্যারোসলের রাসায়নিক পদার্থ শ্বাসনালীর প্রদাহ, হাঁপানি এবং অন্যান্য শ্বাসজনিত সমস্যার কারণ হতে পারে। এছাড়াও অ্যারোসল স্প্রে চোখ ও ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। যা অ্যালার্জির মতো প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, কয়েল পোড়ানোর ধোঁয়ায় যে রাসায়নিক পদার্থ থাকে, তা দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এদিকে অ্যারোসলের বিষাক্ত কণাও স্নায়ুতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। যা স্নায়বিক ব্যাধি সৃষ্টি করতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, মশা তাড়ানো জন্য কয়েল ও অ্যারোসল ব্যবহারের বিকল্প ভাবতে হবে। মশারি, প্রাকৃতিক তেল বা বৈদ্যুতিক মশা তাড়ানোর যন্ত্র ব্যবহার করে স্বাস্থ্যকে নিরাপদ রাখা যেতে পারে।

Link copied!