অনেকেরই চোখের নিচের অংশ ফোলা থাকে। কারো হঠাত্ ফুলে যায়। কারো আবার বয়সের ভারে চোখের নিচের অংশ ফুলে যেতে থাকে। সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখের চারপাশের চামড়া পাতলা হয়। নমনীয়তা কমে যায়। তাই চোখের নিচের অংশ ফুলে যায়। তবে এর পেছনে অন্য কারণও থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানান, বয়সজনিত কারণে এই সমস্যা হলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ নয়। তবে অন্য কারণে চোখের নিচের অংশ ফুলে গেলে তা চিকিত্সা করা যেতে পারে।
বেশ কয়েকটি কারণেই চোখের নিচের অংশ ফুলে যেতে পারে। যেমন_ অনেকের অ্যালার্জির সমস্যা থাকে। ঋতুকালীন অ্যালার্জি বা নোংরা থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। যা থেকে চোখের চারপাশে ফুলে যেতে পারে। অ্যালার্জি থেকে এই সমস্যা হলে চোখে চুলকানি, লালভাব থাকবে।
অনেকের আবার দীর্ঘক্ষণ কান্নাকাটি করলেও চোখের নিচ ফুলে যায়। এই সময় চোখের নিচে তরল জমা হতে পারে। অশ্রুতে পানি, লবণ এবং এনজাইম থাকে। যা থেকে চোখের চারপাশের ত্বকে জ্বালাপোড়া হয়। এরপর ফুলে ভারী হয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, ডিহাইড্রেশনের কারণেও চোখের নিচের অংশ ফুলে যেতে পারে। পানি কম খেলে, প্রচুর পরিমাণে লবণ এবং অ্যালকোহল পান করলেও চোখের নিচের অংশ ফুলে যেতে পারে।
এছাড়াও হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলেও এই সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে নারীদের ঋতুস্রাব, মেনোপজ, গর্ভাবস্থার সময়কালে চোখের নিচের অংশ ফোলা দেখা যায়।
অনেকের আবার অনিদ্রাজনিত সমস্যাও থাকে। তাদেরও অধিকাংশ সময় চোখের নিচ ফুলে যায়। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের নিচের অংশ ফোলা দেখা যায়।
এদিকে যাদের নিয়মিত ধূমপান এবং অ্যালকোহল পানের অভ্যাস রয়েছে তারাও এমন সমস্যায় ভোগেন। কেমিক্যাল পদার্থ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এতে ত্বকে অস্বস্তি সহ চোখের নিচের অংশ ফোলাভাব দেখা দেয়।
চোখের নিচের অংশে ফোলাভাব দূর করার জন্য বিশেষজ্ঞরা জানান, জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনলে এই সমস্যা দূর হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম, অ্যালকোহল এবং ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করলে এই সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।