• ঢাকা
  • রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩০, ২৪ শা'বান ১৪৪৬

শিশুর প্রায়ই সর্দিকাশি হয় কেন?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫, ১২:৫৩ এএম
শিশুর প্রায়ই সর্দিকাশি  হয় কেন?
ছবি: সংগৃহীত

শিশুর শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বড়দের তুলনায় কম থাকে, তাই তারা সহজেই সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়। বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তন, ধুলাবালি, ভাইরাস ও ঠান্ডা আবহাওয়া শিশুর শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়, ফলে সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। কিছু শিশু আবার বারবার অসুস্থ হয়, যা অভিভাবকদের উদ্বিগ্ন করে তোলে। তবে এর পিছনে কারণ কী জানেন?

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়া
নবজাতক ও ছোট শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে। জন্মের পর প্রথম কয়েক বছর তাদের শরীর সহজেই ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে আক্রান্ত হয়, ফলে তারা প্রায়ই সর্দি-কাশিতে ভোগে।

ভাইরাসজনিত সংক্রমণ
শিশুদের সর্দি-কাশির অন্যতম প্রধান কারণ হলো ভাইরাস সংক্রমণ। রাইনোভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস ইত্যাদি শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটিয়ে সর্দি-কাশির সৃষ্টি করে।

আবহাওয়া পরিবর্তন
শীতকাল বা বর্ষাকালে শিশুরা বেশি সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়। ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস শ্বাসনালির সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে দেয়, ফলে কাশি ও শ্লেষ্মা তৈরি হয়।

ধুলাবালি ও অ্যালার্জি
অনেক শিশু ধুলাবালি, ধোঁয়া, ফুলের রেণু, ঘরের ধুলা বা পোষা প্রাণীর লোমের কারণে অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়। এই অ্যালার্জি শ্বাসতন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টি করে, ফলে দীর্ঘস্থায়ী সর্দি-কাশির সমস্যা হয়।

ঠান্ডা খাবার ও পানীয় গ্রহণ
অনেক সময় ঠান্ডা পানি, আইসক্রিম বা ফ্রিজের খাবার খেলে শিশুর গলা ব্যথা হয় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।

অতিরিক্ত শুষ্ক বা আর্দ্র পরিবেশ
বাতাস খুব বেশি শুষ্ক হলে শ্বাসনালির মিউকাস ঝিল্লি শুষ্ক হয়ে যায়, ফলে কাশি বাড়ে। আবার অতিরিক্ত আর্দ্রতা ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটিয়ে সংক্রমণের কারণ হতে পারে।

ধূমপানের পরোক্ষ প্রভাব
যেসব শিশুর পরিবারের কেউ ধূমপান করেন, তারা ধোঁয়ার কারণে শ্বাসতন্ত্রের জ্বালাপোড়া ও দীর্ঘস্থায়ী কাশিতে আক্রান্ত হতে পারে।

স্কুল ও ডে-কেয়ারে সংক্রমণ
যেসব শিশু স্কুল বা ডে-কেয়ারে যায়, তারা অন্য শিশুদের কাছ থেকে ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে।

 

কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?

  • সর্দি-কাশি দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে।
  • জ্বর ১০১°F বা তার বেশি হলে।
  • শিশু শ্বাস নিতে কষ্ট করলে বা শ্বাস নিতে গেলে বুকের শব্দ শোনা গেলে।
  • খাবার খেতে না চাইলে বা শরীরে দুর্বলতা দেখা দিলে।
  • কফের সঙ্গে রক্ত আসলে বা খুব গাঢ় সবুজ বা হলুদ কফ হলে।
Link copied!