গর্ভাবস্থায় হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন হয়। খাদ্যাভাস ও শারীরিক কাঠামোরও পরিবর্তন হয়। এসব পরিবর্তনে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। বেশির ভাগ গর্ভবতী নারীদেরই গর্ভকালীন সময়ে এ সমস্যার মুখোমুখী হতে হয়। তাছাড়া আয়রন, ক্যালসিয়ামের ওষুধ ও খাবার এসময়ে বেশি বেশি খেতে হয় যার কারণেও গর্ভবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা একান্ত প্রয়োজন। নয়ত হবু মায়ের স্বাস্থ্য ও সন্তানের ক্ষতি হয়। তাই গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা একান্ত জরুরি। এক্ষেত্রে প্রতিরোধে যা যা করবেন জেনে নিন-
আঁশযুক্ত খাবার খাবেন
বেশি করে আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। প্রতিদিন অন্তত একটু হলেও সবুজ শাক খেতে হবে। এতে অনেকটাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে থাকবে। এছাড়া শাকসবজি, ফলমূল অর্থাৎ যেসব খাবারে ফাইবার থাকে সেসব খাবার খেতে হবে। দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেতে হবে।
দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার
দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে থাকে। কারণ এক গ্লাস দুধে একটি সম্পূর্ণ খাবারের পুষ্টি ও গুণাগুণ বিদ্যমান। তাই প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ বা এক বাটি টক দই খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। এতে যেমন শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয় তেমনি তা হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
পর্যাপ্ত পানি পান
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। অর্থাৎ দিনে ৩-৪ লিটার পানি বসে পান করতে হবে। এতে শরীরের সব অঙ্গে তা পৌঁছায় এবং যথা নিয়মে কাজ করতে পারে।
ব্যায়াম করা
সুস্থ থাকতে প্রতিটা মানুষের জন্য ব্যায়াম জরুরী। গর্ভাবস্থায়ও ব্যায়াম করতে হবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সপ্তাহে ৪-৫ দিন নির্দিষ্ট সময়ে ব্যায়াম করতে হবে।
সঠিক নিয়মে থেকেও যদি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর না হয়ে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে।