• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিশুর রিকেট কেন হয়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
শিশুর রিকেট কেন হয়
ভিটামিন ‘ডি’র-এর অভাবে শিশুদের রিকেট রোগ হয়। ছবি: সংগৃহীত

শিশুদের বিভিন্ন রোগের মধ্যে রিকেটস অন্যতম। খনিজ পদার্থ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’র-এর অভাবে শিশুদের এই রোগ হয়। এই রোগে শিশুর হাড় দুর্বল হয়ে যায়। এর প্রভাবে শিশুদের এবং বয়ঃসন্ধিকাল যারা অতিক্রম করছেন তাদের বৃদ্ধি থামিয়ে দেয়। এতে শিশুর হাড় বেঁকে যায়, হাড়ে ব্যথা হয়, পায়ের বিকৃতি দেখা যায়; এমনকি হাড় নরম হয়ে ভেঙে যেতে পারে।

রোগের কারণ
সূর্যালোকের অভাব, খাবারে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’-এর ঘাটতি, খাদ্যজনিত ভিটামিন ডি শোষণ কমে যাওয়া এই রোগ হওয়ার কারণ। পাশাপাশি ফসফরাসের অভাবে এ রোগ হতে পারে। আবার লিভার ও কিডনি রোগসহ বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও এ রোগ হতে পারে।

কীভাবে বুঝবেন
জন্মের প্রথম বছরের শেষে বা দ্বিতীয় বছরের শুরুতে শিশুর রিকেটস রোগের লক্ষণগুলো দেখা যায়।

শিশুদের দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে যেসব লক্ষণ দেখা যেতে পারে—

  • খুলির হাড় নরম হওয়া।
  • মাথার খুলি চারকোনা বাক্সের মতো হওয়া।
  • কবজি ও গোড়ালির হাড় বেড়ে যাওয়া।
  • হাঁটুর কাছ থেকে দুই পা দুই দিকে বেঁকে যাওয়া
  • হাঁটু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত পা সামনের দিকে বেঁকে যাওয়া।
  • দুধদাঁত দেরি করে ওঠা, দাঁত ক্ষয় হওয়া।
  • কবুতরের বুকের মতো বুকের খাঁচা পরিবর্তিত হওয়া।
  • বুকের পাঁজরের হাড়গুলো বুকের সামনে বৃদ্ধি পাওয়া।
  • শরীরের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে মাংসপেশি শুকিয়ে গিয়ে দুর্বল হয়ে যাওয়া।
  • টিটানিতে আক্রান্ত হওয়া।

রোগ শনাক্তে পরীক্ষা
রোগের লক্ষণগুলো চিহ্নিত করে হাড়ের এক্স-রে এবং রক্ত পরীক্ষা করে রোগটি শনাক্ত করা যায়।

চিকিৎসা 
শিশুর দৈনন্দিন খাবারের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। বাচ্চাকে ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার বিশেষ করে নানা সবজি যেমন—ঢ্যাঁড়স, কুমড়াসহ নানা শাক এবং কাঁটাওয়ালা ছোট মাছ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। নিয়মিত দুধ দিতে হবে পাশাপাশি ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট দেওয়া হয়।

প্রতিরোধ
গর্ভবতী নারীদের গর্ভকালে খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ডি, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকা দরকার। সাধারণত ভিটামিন-ডি প্রাণিজ খাদ্যেই বেশি পাওয়া যায়। তৈলাক্ত মাছ, যেমন কড বা হাঙর মাছের যকৃতের তেল এবং অন্যান্য প্রাণীর যকৃতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ডি পাওয়া যায়। এ ছাড়া দুধ, ডিমের কুসুম, মাখন ও চর্বিযুক্ত খাদ্যে ভিটামিন-ডি থাকে।
শিশুদের দুধ ও খাবারে ভিটামিন ‘ডি’ যুক্ত করতে হবে। স্বল্প ওজনের অপরিণত শিশুর জন্মের পর দুই সপ্তাহ থেকে ভিটামিন ‘ডি’ দিতে হবে।

Link copied!