• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

মস্তিষ্কের ব্যায়াম কেন করবেন, কীভাবে করবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
মস্তিষ্কের ব্যায়াম কেন করবেন, কীভাবে করবেন
বিজ্ঞান ও গণিতের মতো যুক্তিভিত্তিক চর্চায় মস্তিষ্কের একটি অংশের ব্যায়াম হয়। প্রতিকী ছবিঃ সংগৃহীত

আমরা শরীরের কথা চিন্তা করে নানা রকম শরিরচর্চা করি। নিয়ম মেনে খাওয়া দাওয়াও করি। ব্যায়াম, নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া, হাঁটাচলা— এগুলি শরীরের যত্ন নিতে যথেষ্ট। কিন্তু মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে আলাদা করে তেমন কিছু আমরা করি না। মস্তিষ্কের যত্ন কী ভাবে নেওয়া যায়, তা অনেকেই জানেন না। মস্তিষ্কেরও আছে ব্যায়াম। মনোযোগ বাড়াতে, মনকে নির্দিষ্ট দিকে স্থির করতে বা স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে এসব ব্যায়াম জরুরি। ব্যায়ামের কারণে মস্তিষ্কের সাইন্যাপসিস বা যে অংশে দু‍‍`টি কোষের নিউরনের মধ্যে স্নায়বিক বৈদ্যুতিক স্পন্দন আদান-প্রদান ঘটে তা বেড়ে যায়। ফলে মস্তিষ্কে আরও বেশি যোগাযোগ স্থাপিত হয় এবং অতিরিক্ত কোষ গঠিত হয়। তাই মস্তিষ্কের ব্যায়াম জরুরি। জেনে নিন মস্তিষ্কের ব্যায়াম করবেন কীভাবে?

  1. নতুন নতুন পরিবেশে ঘুরে বেড়ান। এতে অন্য মানুষের সাথে মতামত বিনিময় করা কিংবা তাদের কাছ থেকে নতুন কিছু শেখার সুযোগ হয়। এর মাধ্যমে নতুন কোষগুলোর জন্য আপনি একটি সার্কিট তৈরি করতে পারবেন।
  2. বই পড়তে পারেন। নিয়মিত বই পড়লে মনও ভাল থাকে। তবে এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের বই পড়া উচিত। এতে মস্তিষ্কের ব্যায়াম হয়। অনেক সময় একটানা পড়তে গিয়ে খেই হারিয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের উপর জোর খাটাবেন না। যখন যেটা পড়তে ইচ্ছা করবে, সেটাই পড়ুন।
  3. বিজ্ঞান ও গণিতের মতো যুক্তিভিত্তিক চর্চায় মস্তিষ্কের একটি অংশের ব্যায়াম হয়। গণিতের নানান সমস্যা নিয়ে ভাবুন, সমাধান করুন।  বিজ্ঞানের নানা বিষয় নিয়ে ভাবুন। প্রশ্ন করুন তার উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।
  4. সৃজনশীল কাজে মনোযোগ দেন, এতে মস্তিষ্কের আরেক অংশের ব্যায়াম হবে। রুবিকস কিউব, সুডোকু, জিগস পাজল, ক্রসওয়ার্ড পাজল, দাবার মতো খেলায় রোজ কিছুটা সময় কাটাতে পারেন।
  5. নিজের পছন্দের কাজ বেশি করে করুন। সেটা নাচ হতে পারে কিংবা লেখালেখি। আবার কারও বাগান করতে ভাল লাগতে পারে। কাজ যাই হোক, মন ভাল থাকে, এমন কাজ বেশি করুন।
  6. সেলাই বা বুননেও হয় মস্তিষ্কের ব্যায়াম। ঘর সাজানোর জিনিস তৈরি করতে পারেন নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে। ফেলনা জিনিস কাজে লাগাতে পারেন অন্দরসজ্জায়। মস্তিষ্কের ব্যায়াম হবে।
  7. কৌতূহল মরে যেতে দেবেন না। বয়স বাড়লে অনেক সময় কৌতূহলী মনটা নষ্ট হয়ে যায়। তাতে অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হতে হয়। তা ছাড়া কৌতূহল মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। মস্তিষ্কের ব্যায়াম হয়।
  8. গলা ছে়ড়ে গান কিংবা আবৃত্তি করুন। কথা ভুলে গেলেও অসুবিধা নেই। মনে করার চেষ্টা করুন। মস্তিষ্কের এই ব্যায়ামে মানসিক চাপ কমবে। স্মৃতিশক্তি বাড়বে। তবে এটি দীর্ঘ অনুশীলন। নিয়মিত করতে লাগে। এক দিন-দু’দিন করলে হবে না। একটানা করে যেতে হবে।
Link copied!