• ঢাকা
  • রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

কাঁচা আম খাওয়া কাদের মানা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৫, ১২:৩৯ এএম
কাঁচা আম খাওয়া কাদের মানা
ছবি: সংগৃহীত

গ্রীষ্মকাল মানেই আমের মৌসুম। পাকা আমের পাশাপাশি কাঁচা আমেরও রয়েছে আলাদা জনপ্রিয়তা। টক স্বাদের এই ফলটি দিয়ে তৈরি হয় নানা রকম চাটনি, আচার, শরবত ও ভর্তা। কাঁচা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, আয়রন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের জন্য উপকারী। তবে কিছু কিছু মানুষের জন্য এটি হতে পারে বিপজ্জনক।
কাঁচা আম স্বাদে যেমন অনন্য, তেমনি এর কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। তবে সবাই কি এই আম খেতে পারবেন? না। যাদের কিছু নির্দিষ্ট শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এটি হতে পারে ক্ষতির কারণ। তাই নিজের শারীরিক অবস্থা বুঝে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কাঁচা আম খাওয়া উচিত। চলুন জেনে নিই, কাঁচা আম খাওয়া কাদের জন্য মানা এবং কেন।

অতিরিক্ত এসিডিটির রোগীরা
কাঁচা আম টকজাতীয় ফল, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড। যারা গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি বা পেপটিক আলসারের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য কাঁচা আম বিপজ্জনক হতে পারে। এটি পেটের এসিডের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। এতে বুকে জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপা, ব্যথা বা হজমের সমস্যা হয়। তাই যাদের অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গ্যাস্ট্রাইটিস আছে, তাদের কাঁচা আম না খাওয়াই ভালো।

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ
যদিও কাঁচা আমে চিনির পরিমাণ কম, তবে অনেকেই শরবত বা আচার তৈরিতে অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার করেন। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের কাঁচা আম খেতে হলে খুব সংযমের সঙ্গে খেতে হবে।  কোনোভাবেই চিনি মিশিয়ে খাওয়া উচিত নয়। সবচেয়ে ভালো হয় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেলে।

কিডনি রোগীদের জন্য সতর্কতা
কাঁচা আমে রয়েছে কিছু পরিমাণ অক্সালেট ও পটাশিয়াম, যা অতিরিক্ত পরিমাণে কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে যাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তাদের জন্য কাঁচা আম বেশি খাওয়া ঠিক নয়। কিডনির রোগীরা যদি কাঁচা আম খেতেই চান, তবে সীমিত পরিমাণে এবং চিকিৎসকের পরামর্শে খাওয়া উচিত।

ডায়রিয়া বা বমি
কাঁচা আম বেশি খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় কাঁচা আমে থাকা অ্যাসিড পেটের পর্দায় আঘাত করে। যার কারণে বমি, পেট ব্যথা কিংবা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরও বেশি থাকে। তাই কাঁচা আম খেলেও তা যেন সীমিত পরিমাণে হয়।

ঠান্ডা-কাশি বা গলা ব্যথা হলে
কাঁচা আম খাওয়ার পর অনেকের গলা ধরে যায় বা কাশি বাড়ে। বিশেষ করে যারা ঠান্ডা-কাশিতে ভোগেন বা গলা ব্যথা রয়েছে, তাদের জন্য কাঁচা আম খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কাঁচা আম শরীর ঠান্ডা করে এবং অতিরিক্ত টক স্বাদের কারণে গলার ওপর প্রভাব ফেলে।

অ্যালার্জির রোগীরা
কাঁচা আম খাওয়ার পর কারও কারও মধ্যে অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দেয়—যেমন চুলকানি, ত্বকে লালচে দাগ, চোখ চুলকানো বা শ্বাসকষ্ট। এটি মূলত আমে থাকা নির্দিষ্ট প্রোটিনের কারণে হয়ে থাকে। যারা আগে থেকেই অ্যালার্জির প্রবণতায় ভুগছেন, তারা কাঁচা আম খাওয়ার আগে সাবধানতা অবলম্বন করুন।

Link copied!