ক্যানসারকে বলা হয় মরণব্যাধি। বিভিন্ন কারণে ক্যানসার বাসা বাঁধতে পারে দেহের যেকোনো স্থানে। ক্যানসারের স্থান ও উৎস অনুযায়ী এর নামকরণ করেছেন চিকিৎসকরা। তেমনি স্তনে ক্যানসার হলে তাকে আমরা বলি স্তন ক্যানসার।
স্তনের কিছু কোষ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে, ওই অনিয়মিত ও অতিরিক্ত কোষগুলো বিভাজনের মাধ্যমে টিউমার বা পিণ্ডে পরিণত হয়। সেটি রক্তনালীর লসিকা (কোষ-রস) ও অন্যান্য মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। যাকে স্তন ক্যানসার বলা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন বাংলাদেশে ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বে প্রতি আটজনের মধ্যে একজন নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন।
প্রাথমিক অবস্থায় স্তন ক্যানসার ধরা পড়লে তা নিরাময় সম্ভব। কিন্তু জটিল আকার ধারণ করলে তখন ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে তার আগে জেনে নিতে হবে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কাদের বেশি-
- মহিলাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি পুরুষদের তুলনায় বেশি।
- যত বয়স বাড়বে, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ততোই বাড়তে থাকে। বিশেষ করে ৫৫ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
- পরিবারের কারও ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে।
- মহিলাদের সন্তান না হলে বা প্রথম সন্তান ৩৫ বছর পর জন্ম নিলে
- সন্তানকে বুকের দুধ পান না করানো
- ১২ বছরের আগে ঋতুস্রাব ও ৫৫ বছর বয়সের পর যদি মেনোপজ হলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে।
- যদি কারো পূর্বে একটি স্তনে ক্যান্সার হয়ে থাকে, তবে তার অন্য স্তনেও ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- দীর্ঘদিন ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য পিল বা বড়ি খেলে
- তেজস্ক্রিয় বস্তুর আশেপাশে থাকলে কিংবা তেজস্ক্রিয় রশ্মি দিয়ে চিকিৎসা করলে পরবর্তী জীবনে তার স্তন ক্যান্সারের বিকাশের সম্ভাবনা
এমনকি অতিরিক্ত মদ্যপানও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।