রমজানে প্রায় প্রতিদিনই ইফতারে লেবুর শরবত থাকে। লেবুর শরবত খুবই জনপ্রিয় একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়। যা শরীরকে সতেজ রাখে এবং নানাভাবে উপকার করে। তবে এটি সবার জন্য উপযোগী নাও হতে পারে। কিছু মানুষ লেবুর শরবত খেলে উপকার পান। আবার কিছু মানুষের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে।
যাদের জন্য লেবুর শরবত উপকারী
- লেবুর শরবত দেহের পানিশূন্যতা পূরণ করে এবং গরমে ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ইলেক্ট্রোলাইট শরীরকে ঠান্ডা রাখে।
- হজমের সমস্যা যাদের আছে তারা লেবুর শরবত খেতে পারেন। লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড পাচনতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে, হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
- লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে লেবুর শরবত খাবেন।
- ওজন কমাতে চাইলেও লেবুর শরবত খেতে পারেন। লেবুর শরবত মেটাবলিজম বাড়িয়ে চর্বি কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে গরম পানির সঙ্গে লেবু মিশিয়ে খেলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে।
- উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্যও লেবুর শরবত ভালো। লেবুর শরবতে পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
- এছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চাইলে লেবুর শরবত খাওয়া যেতে পারে। লেবুতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ব্রণ প্রতিরোধে করে।
যাদের লেবুর শরবত এড়িয়ে চলা উচিত
- গ্যাস্ট্রিক বা আলসারের রোগীরা লেবুর শরবত এড়িয়ে চলবেন। লেবুর শরবত অ্যাসিডিক হওয়ায় এটি গ্যাস্ট্রিক, আলসার বা এসিড রিফ্লাক্সের রোগীদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এটি পেটে জ্বালাপোড়া এবং অস্বস্তি বাড়াতে পারে।
- নিম্ন রক্তচাপের রোগীরাও লেবুর শরবত এড়িয়ে চলবেন। লেবুর শরবত রক্তচাপ কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে। তাই যাদের ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে, তারা নিয়মিত লেবুর শরবত পান না করাই ভালো।
- দাঁতের ক্ষয়ের সমস্যা রয়েছে, তাহলে লেবুর শরবত খাবেন না। লেবুর অ্যাসিড দাঁতের এনামেল ক্ষয় করতে পারে, যার ফলে দাঁতে সংবেদনশীলতা (সেনসিটিভিটি) বাড়তে পারে।
- কিডনির সমস্যা থাকলেও লেবুর শরবত খাওয়া থেকে সাবধান। যাদের কিডনির পাথর হওয়ার প্রবণতা আছে, তাদের বেশি লেবুর শরবত খাওয়া উচিত নয়, কারণ এতে থাকা অক্সালেট কিছু ক্ষেত্রে কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
- অ্যালার্জির সমস্যা যাদের আছে তারাও লেবুর শরবত এড়িয়ে চলবেন। অনেকের শরীরে লেবুর প্রতি সংবেদনশীলতা (অ্যালার্জি) থাকতে পারে। লেবু খেলে চুলকানি, গলা চুলকানো বা শ্বাসকষ্ট হলে লেবুর শরবত এড়িয়ে চলুন।