ওজন কমানো বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই চিনি খাওয়া কমিয়ে দিচ্ছেন। আবার অনেকে আছেন যাদের ডায়াবেটিস আছে ও মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া নিষেধ। সে ক্ষেত্রে চিনির বিকল্প হিসেবে কেউ কেউ গুড় বা মধু বেছে নিচ্ছেন। কারণ আমরা অনেকেই মনে করি চিনির বিকল্প হিসেবে গুড় বা মধু স্বাস্থ্যকর। আসলে কোনটা উপযোগী। বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক-
চিনির পরিবর্তে গুড় খান অনেকে। গুড়ে নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। কিন্তু গুড়েও চিনি ও ক্যালোরি থাকে প্রচুর। অপরদিকে খাঁটি মধু নানা ধরনের পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ। তবে বাজারে যেসব মধু কিনতে পাওয়া যায়, তার বেশির ভাগই চিনি, সুগন্ধি ইত্যাদি মেশানো থাকে। যে কারণে তাতে ক্যালরির পরিমাণও থাকে বেশি। তাই ভালো মধু দেখে খাওয়া উচিত।
এ ছাড়া সাদা চিনির বদলে বাদামি চিনি খেলে ক্ষতি কম হয় বলে অনেকেই মনে করেন। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষেরই অজানা যে, যেকোনো চিনিতেই সুক্রোজ নামক যৌগের মাত্রা সমান থাকে। বাদামি চিনির ক্ষেত্রে এক ধরনের সিরাপ মেশানো হয়ে থাকে। এই চিনি খেলে আলাদা কোনো লাভ হয় না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি চিনির তুলনায় সামান্য হলেও খনিজ বা ভিটামিন পেতে চান, তাহলে চিনির পরিবর্তে মধু বা গুড় বেছে নেওয়া যেতে পারে।
তবে ওজন ও সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য সব ধরনের মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়ায় উচিত।