• ঢাকা
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ডেঙ্গু রোগীকে কখন হাসপাতালে নিয়ে যাবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৩, ১২:১৪ পিএম
ডেঙ্গু রোগীকে কখন হাসপাতালে নিয়ে যাবেন

দেশে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। ডেঙ্গুসংক্রান্ত জটিলতায় হাসপাতালগুলো ভরে যাচ্ছে। মশাবাহিত এই ভাইরাস জ্বর সাধারণত সপ্তাহখানেকের মধ্যে সেরে যায়। তবে জটিল পরিস্থিতিতে দ্বিতীয়, এমনকি তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগীকে ভুগতে হতে পারে। তাই ডেঙ্গু জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। প্রয়োজনে অবশ্যই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। চলুন জেনে নিই রোগীকে কখন হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।

ডেঙ্গুর লক্ষণ

  • অনেক ক্ষেত্রেই ডেঙ্গু জ্বরের কোনো লক্ষণ থাকে না। অনেকের সাধারণ ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো দেখা যায়।
  • তবে জ্বর, মাথাব্যথা, গায়ে ছোপ ছোপ দাগ ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান তিন লক্ষণ। এ ছাড়া গা-হাত-পা ব্যথা, অস্থিতে ব্যথা, চোখের পেছন দিকে ব্যথা, পিঠে ব্যথা হতে পারে। ব্যথা হতে পারে তীব্রমাত্রার।
  • একেবারে হাড় ভেঙে যাওয়ার মতো ব্যথা। চিকিৎসাবিজ্ঞানে সে জন্য এই জ্বরকে বলা হয় ব্রেক বোন ফিভার। চতুর্থ-পঞ্চম দিনে জ্বর চলে যায়। অনেক ক্ষেত্রে আবার ফেরত আসে জ্বর। সে জন্য এটিকে বলা হয় স্যাডল ব্যাক ফিভার।
  • এর পাশাপাশি ক্ষুধামান্দ্য, অরুচি, বমি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। সর্দি, কাশি, গলা ব্যথাও লক্ষণ হিসেবে আসতে পারে। তীব্র ক্লান্তি, হতাশা দানা বাঁধে। দুই থেকে আট দিন পর্যন্ত জ্বরের দশা চলতে পারে। সাধারণত তৃতীয় থেকে অষ্টম দিনের মাঝে শুরু হতে পারে ডেঙ্গুর জটিলতা।

করণীয়
রোগীকে সম্পূর্ণ শারীরিক ও মানসিক বিশ্রামে রাখতে হবে। গা মোছানো ও কপালে জলপট্টি দিতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় পান করাতে হবে। এ ছাড়া ডাবের পানি, খাওয়ার স্যালাইন, স্যুপ, দুধ, শরবত, ফলের রস ইত্যাদি সেবন করতে হবে। ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ানো যাবে না। এতে রক্তক্ষরণজনিত জটিলতা বাড়তে পারে। অনেক শিশুর তাপমাত্রা বেড়ে গেলে খিঁচুনি দেখা দেয়। এ রকম হলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

হাসপাতালে নিতে হবে
যদি তীব্রমাত্রায় পেটে ব্যথা হয়, ২৪ ঘণ্টায় তিন বারের বেশি বমি হয়, কিছু খেতে না পারে, দাঁতের গোড়া, নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ, বমি কিংবা পায়খানার সঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, খিটখিটে মেজাজ, অস্থিরতা, ছটফটানি শুরু হয়, হঠাৎ করে আচরণগত পরিবর্তন দেখা দেয়, চার থেকে ছয় ঘণ্টা ধরে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় অথবা না হয়, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়, পেটে কিংবা ফুসফুসে পানি আসে, রক্তে প্লাটিলেটের মাত্রা এক লাখের নিচে নেমে যায় তবে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।

Link copied!