প্রতি বছর আমাদের দেশে সাপের কামড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। বিশেষ করে বন্যার সময় সাপ তাদের আবাস্থল হারিয়ে শুকনো স্থানে মানুষের আবাস্থলে ঢুকে পড়ে। তখন ঘরের কোণে বা বাড়ির অন্যান্য স্থানে অবস্থান নেয়। ফলে এসময়টায় সাপে কাটার পরিমাণ বেড়ে যায়। বিষহীন সাপে কাটলে ভয়ের কিছু নেই। তবে অনেক সময় বিষহীন সাপে কামড়ালেও ভয়ে মারা যায় মানুষ। তাই তখন ভয় না পেয়ে তাকে আশ্বস্থ করতে হবে তার কিছু হবে না। কিন্তু বিষধর সাপে কাটলে রোগীকে বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে নিতে হবে।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
রোগীকে শুইয়ে দিয়ে যে অঙ্গে সাপ দংশন করেছে সে অঙ্গটি নড়াচড়া সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিতে হবে। সাপে কামড়ালে একটি ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে অনেকে কামড় দেয়া স্থানে শক্ত দড়ি দিয়ে বাঁধেন। তারা মনে করেন, বিষ এতে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না। আসলে এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। বরং এ রকম শক্ত করে বেঁধে ফেলায় জায়গাটিতে রক্ত চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়ে টিস্যুতে পচন শুরু হতে পারে। দংশিত স্থান ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে পরিষ্কার ব্যান্ডেজ বা কাপড় দিয়ে আবৃত করে রাখুন। যখন বুঝবেন বিষধর সাপে কেটেছে এবং রোগীর অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে তখন প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
কীভাবে বুঝবেন বিষধর সাপে কেটেছে
সাধারণত একটি বিষধর সাপের কামড়ে দুটি ছোট চিহ্ন তৈরি হয়। যদি অনেকগুলো ছোট চিহ্ন থাকে, তবে বুঝতে হবে এটি বিষধর সাপের কামড় নয়। কামড় দেওয়া স্থানে তীব্র ব্যথা বা জ্বালা করা, স্থানটি ফুলে লাল হওয়া, ঘুম ঘুম ভাব, মাথাব্যথা ও মাথা ঝিম ঝিম করা, বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া, রক্ত বমি, দুর্বলতা, একটি জিনিস দুটি দেখা, শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বুঝতে হবে বিষধর সাপে কেটেছে।