সারাবছরই বাজারে আপেল পাওয়া যায়। প্রতিদিনই কমবেশি অনেকেই আপেল খেতে পছন্দ করেন। যত ধরণের ফলই থাকুক না কেন আপেলের গুরুত্ব বরাবরই অন্যরকম। কারও বাসায় বেড়াতে যাচ্ছেন কিংবা রোগী দেখতে যাচ্ছেন আপেল কিনে উপহার হিসেবে নিচ্ছেন। কারণ আপেল ছোট বড় সবারই পছন্দের ফল।
প্রতিদিন আপেল খেলে রোগমুক্তি পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আপেল কখন খেতে হবে তা কি জানেন। আপেল খেয়ে স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে হলে সঠিক সময়ে খেতে হবে। অনেকেই বিষয়টি গুরুত্ব দেন না। ইচ্ছে হলেই আপেলে কামড় বসান। কিন্তু সঠিক সময়ে আপেল খেলেই তা শরীরের কাজে লাগবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আপেল খেলে নানা ধরণের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। বিশেষ করে প্রতিদিন আপেল খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। যারা ওজন নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তারাও আপেল খেলে উপকার পাবেন। কারণ ওজন কমাতেও সাহায্য করে এই ফলটি। আবার শরীরের যে কোনও প্রদাহ কমাতে এবং হার্ট ভালো রাখতে আপেলের জুড়ি নেই।
এই সব স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যাবে সঠিক সময়ে আপেল খাওয়ার অভ্যাস করলে। বিশেষজ্ঞরা জানান, আপেল খেলে উপকারিতা পাওয়া যাবে। তবে তা অবশ্যই সকালের দিকে খেতে হবে। সকালে নাস্তার টেবিলে আপেল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। অন্যদিকে অনেকের ধারণা, দুপুরে ভাত খাওয়ার পর আপেল খেলে ভালো হয়। এটা মোটেও ঠিক নয়। রাতেও আপেল খাওয়া ভালো নয়। কেবলমাত্র সকালের নাস্তার টেবিলে বা নাস্তা করার কিছুক্ষণ পরই আপেল খাওয়া উত্তম। এতে আপেলের সব গুণাগুণ শরীর ভোগ করবে।
এদিকে আপেলের সঙ্গে দুধ না খাওয়াই ভালো বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, দুধ ও আপেল একসঙ্গে খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে। তাই সকালে দুধ খাওয়ার বেশ খানিকটা সময় পরই আপেল খাওয়া উচিত। সকালের দিকে আপেল খেলে সারা দিনের হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে বলে জানান স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
পুষ্টিবিদরা জানান, সকালে আপেল খাওয়ার উপযুক্ত সময়। কারণ আপেলের খোসা আঁশ ও পেকটিন সমৃদ্ধ। অনেকেরই অপর্যাপ্ত ঘুমসহ নানা কারণে হজমজনিত সমস্যা হয়। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে আপেল খাওয়া সবচেয়ে ভালো। এটি অন্ত্রের ক্রিয়া সুষ্ঠভাবে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।