শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত। আর হাঁটা হলো সবচেয়ে মুক্ত ও সহজ ব্যায়াম। সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত একটু হলেও হাঁটার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, হার্টের বিভিন্ন সমস্যায় হাঁটার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। তবে অনেকে মনে প্রশ্ন আসতে পারে, দিনে কখন হাঁটবেন, কত সময় হাঁটবেন।
কখন হাঁটবেন
দিনের যেকোনো সময় হাঁটা যায়। তবে সকাল বেলা হাঁটার জন্য ভালো সময়। তবে হার্টের রোগীরা সকালে না হাঁটা ভালো। কারণ হার্টের রোগীরা সকালে হাঁটলে হার্ট অ্যাটক হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুম থেকে উঠেই হাঁটতে যাওয়া ঠিক না। ঘুম থেকে ওঠার কমপক্ষে ৩০ মিনিট পর হাঁটতে বের হওয়া উচিত।
কতক্ষণ হাঁটবেন
কেউ কেউ হাঁটার হিসাব করেন সময় হিসাবে। যেমন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। আবার কেউ কেউ দূরত্ব দিয়ে—যেমন দেড় থেকে দুই কিলোমিটার। এ হিসাবটি নির্দিষ্ট থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে দৈনিক হাঁটার আদর্শ সময়কাল বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কমবেশি হতে পারে। প্রতি সপ্তাহে ১৫০ মিনিট হাঁটলে সার্বিকভাবে সুস্থ থাকতে পারবেন, এমনটা বলছে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর স্বাস্থ্য নির্দেশিকা।
প্রাথমিকভাবে সপ্তাহের অন্তত চার দিন ৩০ মিনিট করে হাঁটতে হবে। প্রয়োজন ও সক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে বাড়াতে হবে। সাধারণভাবে যত বেশি হাঁটা যাবে, তত বেশি এর উপকারিতা পাওয়া যাবে। এটাই মনে করেন গবেষক ও চিকিৎসকেরা। সেই হিসেবে আপনি দিনে ১০ হাজার কদম হাঁটতে পারেন। শারীরিক অবস্থা ভালো থাকলে আরও বেশি সময় ধরে আপনি হাঁটতে পারেন। তবে কখনোই ৩০ মিনিটের কম হাঁটা উচিত হবে না। এক নাগারে ৩০ মিনিট হাটতে না পারলে সময় ভাগ করে করে হাটুন।
কীভাবে হাঁটবেন
শরীর সামনের দিকে ঝুকে হাটা উচিত নয়। শরীরের বুক ও ঘাড় সোজা রেখে সামনের দিকে হাঁটতে হবে। হাঁটার স্পিড হবে ৬ থেকে ৮ কিলোমিটার/ঘণ্টা হিসেবে। অনেক বেশি বয়সের মানুষ একা একা হাঁটা উচিত নয়। আবার যারা ডায়াবেটিস বা হৃদরোগে আক্রান্ত তাদেরও একা হাঁটা উচিত নয়।