সাধারণত ৯ থেকে ১২ বছর বয়স থেকেই মেয়েদের পিরিয়ড শুরু হয়। এসময় মেয়েদের শরীরে একটা বড় পরিবর্তন হয়। বিশেষ করে হরমোনের পরিবর্তন হয়। হরমোনাল পরিবর্তন হওয়ার কারণে অনেকের নানান রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। অনেকের পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে থেকে আবার অনেকের শুরু হওয়ার পর থেকে শারিরীক এসব সমস্যা দেখা দেয়। যেমন-কারও কারও মুড সুইং হয়, খাবারে অরুচি হয়, ডায়রিয়া হয়, প্রচন্ড পেট ব্যথা হয়, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা হয়, বিভিন্ন ধরণের ক্রেবিং তৈরি হয় এমনকি মেজাজ খিটখিটে থাকে। তাই যখন আপনার সন্তানের পিরিয়ড শুরু হয় তখন তার দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। মা-বাবা হিসেবে দুজনকেই এসময় সন্তানের খাবার থেকে শুরু করে সব দিকে খেয়াল রাখা উচিত। পিরিয়ডের সময় গুলোতে মেয়েদের স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী খাবার সম্পর্কে এক ভিডিও বার্তায় কিছু পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদ আয়েশা সিদ্দিকা। যেমন-
- পিরিয়ডের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে। দিনে অন্তত ৩-৪ গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করতে হবে। এতে তার রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ভালো হবে।
- পিরিয়ডের সময় অনেকেরই রক্তপাত বেশি হয়। আবার কারও কারও কমও হয়। রক্তপাত যেমনই হোক না কেন রক্তপাতের কারণে এসময় শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই উচ্চমান সম্পন্ন আয়রনযুক্ত খাবার দিতে হবে। এক্ষেত্রে সবুজ শাকসবজি দিতে পারেন।
- বাদাম বেশি করে খেতে দিতে হবে। এমনকি ফ্যাটযুক্ত মাছও তাকে খেতে দিতে হবে যাতে ওমেগা ফ্যাট থাকে। এছাড়া জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ পাওয়া যায়। ওমেগা ফ্যাট শরীরে ব্যথা কিছুটা কমাতে সাহায্য করে।
- এসময় সন্তানকে ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে দিন
- তরমুজ, আনারস, নাশপাতি এরকম যেসব ফলে পানির পরিমাণ অনেক বেশি সেসব ফল বেশি বেশি করে খেতে দিতে হবে।
- ম্যাগনেসিয়াম পিরিয়ডের সময় শরীরের জন্য বেশ কার্যকরী। তাই এসময় ম্যাগনেসিয়াম আছে এমন খাবার খেতে দেন। এক্ষেত্রে উটস, তরমুজ, বাদাম, খেজুর খেতে দেন।
- ডার্ক চকলেটও উপকারী এসময়। তাই এসময় ১০০ গ্রামের মতো খেতে পারে আপনার শিশু।
- তবে এসময় লবণযুক্ত, চিনিযুক্ত ও প্রসেস খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে। এমনকি লাল মাংস এড়িয়ে যাওয়ায় ভালো।