• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ডায়রিয়া হলে যা খাবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪, ০১:৫৫ পিএম
ডায়রিয়া হলে যা খাবেন
প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। বিশেষ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। এবারও তাই। পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে চারদিকে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। ডায়রিয়া হলে সবাই কী খাবেন, সেটা নিয়ে বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েন। এ নিয়ে নানা কুসংস্কারও আছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছে, ডায়রিয়া হলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ খাবারগুলো খেলেই চলবে। তেমন বিশেষ কিছুর প্রয়োজন পড়ে না। তবে বারবার পায়খানা করার ফলে শরীরের পানিশূন্যতা দেখা দেয়। সেজন্য বেশি বেশি পানীয় পান করতে হবে। চলুন জেনে নেই, ডায়রিয়া হলে কী খাবেন সে সম্পর্কে-

স্যালাইন
ডায়রিয়ায় শরীর পানিশূন্য হয়ে যায় বলে এই সময় তরল বা তরলজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া দরকার। বিশেষ করে খাওয়ার স্যালাইন।

মাড় বা চিড়ার পানি
ডায়রিয়া হলে চিড়ার পানি, ভাতের মাড় ইত্যাদি খাবার খেলেও পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা যায়।

ডাবের পানি
বারবার পায়খানা হলে শরীরে পানির সঙ্গে সঙ্গে লবণেরও ঘাটতি ঘটে। তাই ডাবের পানিও খেতে পারেন। এটা প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইটের উৎস। এতে থাকা পটাসিয়াম ও সোডিয়াম ডায়রিয়ার কারণে হওয়া পানিশূন্যতা ও লবণের ঘাটতি দূর করে।

পাকা কলা
কলা সহজেই হজম হয় এবং এটা পটাসিয়ামের ভালো উৎস। ডায়রিয়া হলে ভিটামিন ও আঁশ দেহ থেকে বের হয়ে যায়। কলা সেসব পূরণ করতে পারে। তাই এসময়ে কলার স্মুদি বানাতে পারেন।

ঘোল
ডায়রিয়া সমাধানে ঘোল খাওয়া উপকারী। এটা প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ যা উপকারী ব্যাক্টেরিয়া এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর মাইক্রোবায়োম বৃদ্ধি করে।
এতে আছে পটাসিয়াম ও ক্যালসিয়ামের মতো ইলেকট্রোলাইট। ডায়রিয়া হলে এসব উপাদান শরীর থেকে বের হয়ে যায়।

কাঁচকলা
কাঁচকলায় আয়রন, পটাশিয়ামসহ আরও অনেক খনিজ পদার্থ আছে। আয়রন যেহেতু কোষ্ঠকাঠিন্য করতে পারে, তাই কাঁচকলা খেলে মল একটু শক্ত হয়। তাই ডায়রিয়া হলে কাঁচকলা খেতে পারেন।

হাতের কাছে প্যাকেটজাত স্যালাইন না থাকলে নিজেই ঘরে বানিয়ে নিতে পারেন খাবার স্যালাইন। 
বাড়িতে স্যালাইন তৈরির নিয়ম

  • একটি পরিষ্কার পাত্রে এক লিটার বিশুদ্ধ খাবার পানি নিন। খাবার পানি অবশ্যই স্বাভাবিক তাপমাত্রার হতে হবে। বিশুদ্ধ পানি না থাকলে পানি ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করে নিন। পানি ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করা হলে তা ঠান্ডা করে নিন।
  • পাত্রের পানিতে আধা চা-চামচ পরিমাণ লবণ মেশান। চামচ দিয়ে মিশ্রণটি ভালো করে নাড়ুন যাতে লবণ ভালোভাবে পানির সঙ্গে মিশে যায়।
  • লবণ পানির মিশ্রণে এক মুঠো গুড়ে মেশান। গুড়ের বদলে চিনিও ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে ৬ চা চামচ চিনি মেশাতে হবে। গুড় ভালোভাবে মেশানো হলে তৈরি হয়ে যাবে স্যালাইন।
Link copied!