শিশুদের ৬ থেকে ১২ মাস বয়সে দুধদাঁত ওঠা শুরু হয়। যা ওঠা শেষ হয় আড়াই বছর বয়সে। একটি শিশুর মোট ২০টি দুধ দাঁত হয়ে থাকে। ওপরের চোয়ালে ১০টি এবং নিচের চোয়ালে ১০টি।
দুধদাঁত পড়ে যায়
দুধদাঁত পড়ে গিয়ে নতুন স্থায়ী দাঁত ওঠে। সাধারণত ৫-৬ বছর বয়সে বাচ্চাদের দাঁত পড়া শুরু হয়। দুধদাঁত পড়া শেষ হয় ১১-১৪ বছর বয়সে। মূলত ক্রমানুসারে সিরিয়াল অনুযায়ী এগুলো পড়ে থাকে। এ ছাড়া ৫ বছর বয়স থেকে ১৪ বছর বয়সে মানুষের মুখে দুধদাঁত ও স্থায়ী দাঁত একসঙ্গে থাকে।
শিশুদের দাঁতের যত্নে যা করতে হবে
- দুধদাঁত ওঠা শুরু হলেই দাঁত ব্রাশ ও দাঁতের যত্ন শুরু করতে হবে।
- শিশুকে ২ বছর পর্যন্ত বুকের দুধ পান করাবেন। ২ বছরের পর থেকে গরুর দুধ পান করানোর অভ্যাস করতে হবে। এতে দাঁত, চোয়াল, হাড় ও শরীরের অন্য অংশ সুস্থ ও শক্তিশালীভাবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে।
- বাচ্চাদের ফিডারে করে দুধ ও মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়াবেন না। ফিডারে করে খাওয়ার জন্য বাচ্চাদের ‘নার্সিং বোতল সিনড্রোম’ নামে একটি রোগ হয়। যাতে সব দাঁতে ক্যারিজ হবে। পরে ব্যথা অনুভব হবে।
- বাচ্চা স্টিকি চকলেট বা স্টিকি মিষ্টিজাতীয় খাবার (কেক, মিষ্টি বিস্কুট, চিপস) খাওয়ার পরপরই পানি পান করাবেন। এ ছাড়া তুলা (কটন) বা পরিষ্কার কাপড় পানি দিয়ে ভিজিয়ে দাঁতগুলো মুছে দিতে পারেন। এতে দাঁতে ক্ষয়রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
- ক্ষয়রোগে আক্রান্ত দুধ দাঁতের অবশ্যই চিকিৎসা করাতে হবে। দুধ দাঁত পড়ে গিয়ে উঠবে, এ জন্য চিকিৎসায় অবহেলা করা যাবে না।
- শিশুদের দাঁতের চিকিৎসা করা অনেক কঠিন ও কষ্টসাধ্য। তাই বাবা-মার সচেতনতাই একমাত্র উপায় দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে ও দাঁতের চিকিৎসক থেকে বাচ্চাকে দূরে রাখতে।
- অবশ্যই আপনার বাচ্চাকে দুইবার দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস করাতে হবে একদম ছোটবেলা থেকেই। সকালে নাশতার পর এবং রাতে খাবারের পর।
- বাচ্চাকে খুশি করতে চকলেট বা চিপস জাতীয় খাবার না দেওয়াই উত্তম। আপনারা যেমন দেবেন না, তেমনই আপনার শুভাকাঙ্ক্ষীদের বলে দিন যাতে তারা আপনার বাচ্চাকে এসব খাবার না দেয়।