প্রস্রাবের সময় অনেকের মাঝেমাঝেই হালকা ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করেন। অনেক ক্ষেত্রেই ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণে যখন মূত্রনালির নিম্নাংশ আক্রান্ত হয় তখন এই সমস্যাটি হয়। একে প্রস্রাবের ইনফেকশন বা ইউরিন ইনফেকশন বল্ গরমের সময় এই সমস্যা বাড়ে প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ নারী তাদের জীবদ্দশায় এই সমস্যায় ভোগেন। তবে শুধু নারী নয় পুরুষরাও এই সমস্যায় ভুগতে পারেন। এক্ষেত্রে নারীদের হারই বেশি।
রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে সেখান থেকে ইউরিন ইনফেকশনের আশঙ্কা থেকে যায়। পিরিয়ডের সমস্যা, নিয়মিতভাবে হরমোনের ওষুধ খেলে সেখান থেকেও এ সমস্যা হয়। এছাড়া ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাও দায়ী।
প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া, যৌনাঙ্গে চুলকানি হওয়া, তলপেটে ব্যথা, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে আসা তবে বার বার হওয়া, দুর্গন্ধময় প্রস্রাব হওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। এসব লক্ষণ দেখা দিলে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। কিছু নিয়ম মেনে চললে অনেকটাই ভালো থাকা যায়।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। এতে শরীর হাইড্রেড থাকবে ধীরে ধীরে সমস্যা কমে আসবে।
প্রোবায়োটিক গ্রহণ
শরীরের ভালো ব্যকটেরিয়া হলো প্রোবায়োটিক। প্রোবায়োটিকগুলোর কাজ হলো খারাপ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা। তাই এসময় প্রোবায়োটিক খাবার খেতে পারেন। এক্ষেত্রে টক দই, বাটামিল্ক খেতে পারেন।
ফলমূল খেতে হবে
প্রস্রাবে ইনফেকশন থেকে মুক্তি দেবে ফল। ফলে ফ্লুইডযুক্ত তরল থাকে প্রচুর পরিমাণে। এটি প্রস্রাবের ইনফেকশন কমাবে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। কারণ ভিটামিন সি ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন সি শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই বাড়ায় না, ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে। তাই যেসব খাবারে ভিটামিন সি আছে সেগুলো নিয়মিত খেতে হবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা
রক্তে শর্করা বেড়ে গেলেও প্রসাবে ইনফেকশন হতে পারে। তাই খেয়াল রাখতে হবে রক্তে শর্করার পরিমাণ যাতে না বাড়ে।
ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা
ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলতে হবে। ব্যবহৃত টয়লেট যাতে পরিষ্কার থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।তাছাড়া প্রস্রাব বেশি সময় আটকে রাখা যাবে না। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন, সুস্থ থাকুন।