অনেকেরই এখন পিত্তথলিতে পাথর হয়। দিন দিন এই রোগ যেন বেড়েই চলেছে। এটি পিত্তাশয়ের রোগ। মানুষের পিত্তাশয়ে পাথর জমা হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে পরিচিত এই রোগ কোলেলিথিয়াসিস নামে পরিচিত।
বিশেষজ্ঞরা জানান, যারা স্থূলতায় ভুগছেন কিংবা ওজন বেশি তাদের পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তবে এই রোগ পুরুষদের তুলনায় নারীদের বেশি হয়। বয়স ৪০ পার হলে, নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণের ওষুধ খেলে কিংবা অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খেলে এই রোগের শঙ্কা বাড়ে।
পিত্তথলিতে পাথর হলে পেটে তীব্র ব্যথা হয়, বমি বমি ভাব, জ্বর বা ঠান্ডা বেশি লাগে, চোখ বা ত্বক হলদেটে বর্ণ ধারণ করে, প্রস্রাব এবং মলের রং পরিবর্তন হয়। এমন লক্ষণ দেখা দিলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে।
তবে পিত্তথলিতে পাথর প্রতিরোধে বেশ কিছু নিয়মকানুন মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সময় করে খাওয়া
প্রতিদিনের খাবার সময় করে খেতে হবে। খালি পেটে বেশি সময় থাকা যাবে না। না খেয়ে থাকলে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
ফাইবারযুক্ত খাবার খান
প্রতিদিনের খাবারে উচ্চ ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার রাখুন। যেমন ফল, শাকসবজি এবং গোটা শস্য। এসব খাবার পিত্ততে পাথর গঠনে বাধা দেবে। সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
ওজন কমানো
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তবে হুট করে ওজন কমাতে যাবেন না। বরং ধীরে ধীরে ওজন কমান। দ্রুত ওজন কমলে পিত্তথলিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়ে। সপ্তাহে ওজন ২ পাউন্ডের বেশি ওজন না কমানোই নিরাপদ। এছাড়াও শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং ব্যায়ামের অভ্যাস করতে হবে।