পিরিয়ডের সময় বেশ কিছু সমস্যার মধ্যে একটা হলো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। এই সময় শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের তারতম্য হয়। যার ফলে শরীরের কোষে কোষে পানি ও লবণ বেশি মাত্রায় জমা হয়, কোষগুলি ফুলে যায় ফলে গ্যাসের অনুভূতি হয়। এই সমস্যা পিরিয়ডের সামগ্রিক অস্বস্তিকে আরও তীব্র করতে পারে। তাই এসময় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে কিছু বিষয় মেনে চলুন। যেমন-
সুষম খাবার
পিরিয়ডের সময় খাবার শরীরকে প্রভাবিত করে। এসময় ব্যথা হলেও খাবারের উপর ভরসা রাখে অনেকে। আর গ্যাসের সমস্যা হলে দানাশস্য, তাজা ফল এবং শাক-সবজিতে পূর্ণ সুষম খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। পিরিয়ডের সময় প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। কারণ এসময় এমনেতেই পেট ফেপে থাকেন তার সঙ্গে যদি প্রক্রিয়াজাত খাবার খান তাহলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই পিরিয়ডের সময় সুষম খাবার ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে বেশি করে।
আদা
ঋতুস্রাবের সময় পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর করতে আদা ভীষণ উপকারী। আদা যে কোনও রকম প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে। ঋতুস্রাব চলাকালীন পেটের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতেও মাঝেমাঝে এক টুকরো আদা মুখে রাখতে পারেন।
কলা
কলাতে ভিটামিন বি৬ ও পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় এসব উপাদান শরীরে পানি জমতে বাঁধা দেয়। ঋতুস্রাবের সময় একটা কলা খেয়ে নিলে কিডনি শরীর থেকে সোডিয়াম বের করে দিতে সাহায্য করে। ফলে গ্যাসের সমস্যা থেকেও রেহাই মেলে।
পানীয় পান করুন
পিরিয়ডের সময় হাইড্রেটেড থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ডিহাইড্রেশন পেট ফাঁপা এবং গ্যাসকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এছাড়াও বেশি বেশি পানীয় পান করুন। তবে চিনিযুক্ত পানীয় এবং ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো শরীরকে ডিহাইড্রেড করে তুলতে পারে।
হালকা ব্যায়াম করুন
পিরিয়ডের সময় হালকা ব্যায়াম যেমন- যোগব্যায়াম গ্যাসের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। হজমকে উদ্দীপিত করতে এবং ফোলাভাব কমাতেও সাহায্য করতে পারে। তাই পিরিয়ডের সময় হাঁটা চলা বা যোগব্যায়াম করতে পারেন।