শীতের সকাল মানেই বেশি ঘুম। আলসেমিতে যেন বিছানা ছাড়তেই ইচ্ছে হয় না। গরমকালে মর্নিং ওয়াক নিয়মিত হলেও শীতের সকালে সেই অভ্যাসে চিড় ধরে। প্রতিদিনই আলসেমিতে সকাল শুরু হয়। বেশি সময় ঘুমিয়ে উঠতে উঠতে বেলা বেড়ে যায়। অথচ শীতের সময় মর্নিং ওয়াকের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। কারণ এটি শরীরকে চাঙ্গা করে দিতে পারে। আবার শরীরের বিভিন্ন উপকারও করবে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, শীতের সময় নানা ধরণের অসুস্থতায় শরীর কাবু হতে পারে। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে পারে এই সময় মর্নিং ওয়াক অত্যন্ত জরুরি। কারণ ঠান্ডার মধ্যে হাঁটলে, শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি হয়। যা সংক্রমণ এবং অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এছাড়াও জ্বর, সর্দি-কাশি হওয়ার আশঙ্কাও কমে যাবে।
শুধু তাই নয়, শীতের সকালে হাঁটলে শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হবে। সূর্যের তাপ এবং তেজ কম থাকায় অনেকেরই মেজাজ খিটখিটে থাকে। যাকে বলে হয়ে থাকে Seasonal Affective Disorder। যার জেরে আলস্য, বিষণ্ণতা দেখা দেয়। সকালে হাঁটার অভ্যাস করলে এই সমস্যাও কমে যাবে। তাই শীতে সুস্থ থাকা প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে মর্নিং ওয়াক। বিশেষজ্ঞরা জানান, সকাল সকাল সূর্যের আলো দেখলে সেরোটনিনের মাত্রা বাড়তে পারে। তাতে মেজাজও ঠিক থাকে। শরীর ও মন সুস্থ থাকে।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, শীতকালে মর্নিং ওয়াক করলে রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের উপকার হয়। আর রক্ত সঞ্চালন ভাল হলে, অক্সিজেন এবং পুষ্টি বেশি পরিমাণে কোষ, টিস্যু এবং অঙ্গে প্রবেশ করে। মর্নিং ওয়াকের অভ্যাস থাকলে কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম, রক্তচাপ, হার্টের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। হার্টে অ্যাটাকের ঝুঁকি কমবে।
এছাড়াও শীতের সময় ক্যালোরি হ্রাস করতে মর্নিং ওয়াকে বিকল্প নেই। শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে তা বেশি পরিশ্রম করে। এতে ক্যালোরি কমে এবং শক্তি বাড়ে। শ্বাসযন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ে। গভীর প্রশ্বাস নেওয়া হয়। এতে শরীরে বেশি পরিমাণে অক্সিজেন প্রবেশ করে। যাদের অ্য়াজমা, ব্রঙ্কাইটিজ আছে তারা শীতের সময় নিয়মিত সকালে হাঁটবেন। এতে পুরো শীতের মৌসুমে সুস্থ থাকা যাবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।