ব্যাক্তিগতি কারণে হোক কিংবা দেশের নানান পরিস্থিতিতেই হোক নানান কারণে মানুষের মানসিক চাপ হতে পারে। আর দেশে বর্তমান অস্থির পরিস্থিতিতে মানসিক চাপ বোধ করা অস্বাভাবিক কিছু নয়। মানসিক চাপ যেকোনো বয়সের মানুষের উপরেই এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। মানসিক চাপে ভোগা ব্যক্তির মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, সব কাজেই বিরক্তি প্রকাশ করেন, কোনো কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না এবং ধীরে ধীরে নিজেকে সবকিছু থেকে গুটিয়ে নেন। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপে ভোগা ভীষণ ক্ষতিকর। তাই মানসিক চাপ মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম
যোগব্যায়াম, ধ্যান মানসিক চাপ কমায়। মনে প্রশান্তি আনে। মানসিকভাবে সবল করে তোলে। এক্ষেত্রে নাক দিয়ে ৫ সেকেন্ড ধরে নিশ্বাস নিন এবং কিছুক্ষণ নিশ্বাস ধরে রেখে আস্তে আস্তে ৫ সেকেন্ড ধরে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা ও যোগব্যায়াম করুন।
উষ্ণ পানিতে গোসল
হালকা গরম পানি বা উষ্ণ পানিতে গোসল করলে মন ভালো থাকে। কারণ গরম পানি পেশিগুলি শিথিল করে, রক্ত সঞ্চালন সচল রাখে, উদ্বেগ দূর করে।
পর্যাপ্ত ঘুমান
একজন সুস্থ্য স্বাভাবিক মানুষের সাত থেকে আট ঘণ্টার টানা ঘুম খুব জরুরি। ভাল করে ঘুম মানসিক ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। তাই এসময় পর্যাপ্ত ঘুমানো জরুরি।
পছন্দের কাজে করুন
বই পড়া, হাসির অনুষ্ঠান দেখা, সিনেমা বা পছন্দের যে কোনও কাজ আপনার মনে আনন্দ যোগাবে। নিজের পছন্দের কাজ, সৃজনশীল কাজ যেমন- খেলা, গান শোনা, ছবি আঁকা বা হতে পারে কারুশিল্প নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করুন।
নেতিবাচক চিন্তা বাদ দিন
নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকুন। নেতিবাচক মানুষ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। কোনোকিছুতে তাৎক্ষণিকভাবে সুফল নাও পেতে পারেন। হাল ছাড়া যাবে না। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করুন।
খাবারের প্রতি মনোযোগ দিন
খাদ্যাভ্যাস শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। প্রতিদিন সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া উচিত এবং খাবার তালিকায় অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। শরীরের জন্য ক্ষতিকর খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
প্রয়োজনে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।