আমাদের মুখের ভেতর নরম যে আবরণ থাকে, তাকে মিউকাস মেমব্রেন বলে। এই মেমব্রেন ক্ষয় হয়ে যাওয়ার কারণে মুখগহ্বরে ঘা বা ক্ষত বা আলসারের সৃষ্টি হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় মাউথ আলসার। ঘা হলে আক্রান্ত স্থান শুরুতে লালচে পরে সাদাটে হয়ে যায়। ব্যথাযুক্ত এই ঘা নানান কারণে হতে পারে। সাধারণত আঘাতের কারণে (যেমন ভাঙা দাঁত বা গোড়া), হরমোনাল পরিবর্তন বা মানসিক চাপ থেকে মুখের ঘা হয়ে থাকে। আবার ভিটামিনের ঘাটতি, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট খারাপ, কম পানি পান করা, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি কারণেও হয়।
এই ঘাগুলো সাধারণত এমনিতে চলে যায়। তবে ব্যথা হয় বলে অস্বস্থিতে পড়তে হয়। কথা বলতে বা খেতে গেলে বেশি অস্বস্থি হয়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওষুধের প্রয়োজন লাগে না তবে ঘরোয়াভাবে কয়েকটি পদ্ধতিতে এটি সারানো যেতে পারে। যেমন-
হলুদের গুঁড়া
দুই চা চামচ হলুদের গুঁড়া পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিয়ে তা দিয়ে প্রতিদিন ২বার করে কুলকুচি করুন। এতে মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর হবে ও ঘায়ের যন্ত্রণাও সারবে।
ফিটকিরি
সামান্য ফিটকিরির গুড়ার সঙ্গে দুয়েক ফোটা গ্লিসারিন মিশিয়ে ঘায়ে লাগান। এটি ঘা শুকাতে সাহায্য করবে।
লবণ
গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে কুলকুচি বা গার্গল করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনের মধ্যে বার তিনেক করলে আস্তে আস্তে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
এলাচের গুঁড়া ও মধু
এলাচের গুঁড়ার সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে ঘায়ের স্থানে লাগিয়ে রাখুন। আরাম পাওয়া যাবে।
রসুন
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান আছে রসুনে। মুখের আলসারের ব্যথা ও ক্ষত দূর করতে রসুনের রস বের করে নিয়ে লাগাতে পারেন।
মধু
ঘা হলে সেই জায়গাটা মধু লাগালে জায়গাটা ঠান্ডা হবে ও তার জ্বালা ভাব অনেকটাই কমবে। মধুতে থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল উপাদান যে কোনও লালচে ও জ্বালা ভাব দূর করতে সক্ষম। তাই মধু লাগালে উপকার পাবেন।
যদি মুখের ঘা বেশি হয় বা বাড়াবাড়ি রকমের হয় তাহরে অবশ্যেই চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে হবে।