হটাৎ করে কাঁধ শক্ত হয়ে যাওয়া কিংবা হাত ওঠা নামার সময় ব্যথা হওয়াকে বলে ফ্রোজেন শোল্ডার। সাধারণত ৪০-৬০ বছর বয়সী মানুষের ফ্রোজেন শোল্ডার হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এতে কাঁধ ব্যথার সঙ্গে কাঁধের সন্ধি জ্যাম হয়ে গেছে বলে অনুভূত হয় বা কাঁধ নাড়াতে কষ্ট হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় একে ‘অ্যাডহেসিভ ক্যাপসুলাইটিস’ বলা হয়।
ফ্রোজেন শোল্ডার কেন হয় তার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায় নি। কিন্তু ফ্রোজেন শোল্ডার হলে হাত ওপরে ওঠাতে কষ্ট হয়। এছাড়া স্বাভাবিক কাজকর্মেও ব্যাঘাত ঘটে। যেমন চুল আঁচড়ানো, চুল বাঁধা, জামাকাপড় পরা, গায়ে সাবান দেওয়া ইত্যাদি। ফ্রোজেন শোল্ডার হলে পেশির নমনীয়তা একেবারেই নষ্ট হয়ে আর এজন্যই হাতের নড়াচড়ায় সমস্যা হয়।
- শুরুর দিকে সাধারণত ব্যথা বেশি হয়। ব্যথা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যথানাশক গ্রহণ করলে ব্যথা কমে যাবে।
- ফ্রোজেন শোল্ডারের ব্যথা কমাতে ফিজিওথেরাপি ও ব্যায়াম খুবই কার্যকর চিকিৎসা। প্রয়োজনে ফিজিওথেরাপি নিতে হবে। অনেকের ক্ষেত্রে ঘরে কিছু ব্যায়াম করলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যেমন, পেন্ডুলার এক্সারসাইজ। এক্সারসাইজ রোগী নিজে করবেন; কোমর নুইয়ে একদিকে কাত হয়ে। ঘড়ির পেন্ডুলামের মতো বা গাড়ির স্টিয়ারিং ঘোরানোর মতো করে কাঁধের ব্যায়াম করতে হবে। সকাল-বিকাল ২০ থেকে ২৫ মিনিট এ ব্যায়াম করতে হবে।
- তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসক প্রয়োজন মনে করলে সুগার নিয়ন্ত্রণে এনে জয়েন্টে স্টেরয়েড ইনজেকশন দিতে পারেন।
- সন্ধির নড়াচড়া একেবারে বন্ধ হয়ে গেলে অনেক সময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জেনারেল অ্যানেসথেশিয়া দিয়ে নড়াচড়া করিয়ে থাকেন।