বাসা, কারখানা, রেস্টুরেন্ট, অফিসসহ বিভিন্ন জায়গায় আগুন লেগে যেতে পারে। সেই আগুন থেকে বের হতে গিয়ে অনেক সময় শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যেতে পারে। আবার কখনও কখনও রান্নাঘরে কাজ করতে গিয়ে শরীরের কোথাও কোথাও আগুনে পুড়ে যেতে পারে। এভাবে হঠাৎ পুড়ে গেলে দ্রুত কিছু ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
তবে হঠাৎ করে পুড়ে গেলে কী ব্যবস্থা নেবেন তা নির্ভর করবে পুড়ে যাওয়া ক্ষত কেমন তার উপর। ত্বকের পোড়ার ধরণ, গভীরতা ও ভয়াবহতার উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা দিতে হবে। যেমন-
ত্বকের উপরিভাগের একটি স্তর বা এপিডার্মিস ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাকে বলা হয় এক ডিগ্রি বার্ন। এতে ত্বক লাল হয়ে যায়, সামান্য ফুলে যায়। জায়গাটি তীব্র জ্বালা করে। তাই এসময় যত দ্রুত সম্ভব ১৫ থেকে ২০ মিনিট পানি ঢালতে হবে। তবে বরফ, বরফ শীতল পানি, কোনো ধরনের ক্রিম, তৈলাক্ত পদার্থ ও মাখন দগ্ধস্থানে দেওয়া যাবে না।
ত্বকের উপরিভাগের দুটি স্তরের প্রথমটি (এপিডার্মিস) সম্পূর্ণভাবে এবং পরবর্তীটি (ডার্মিস) আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাকে
দুই ডিগ্রি বার্ন বলে। এর ফলে পোড়া স্থান লাল হয়ে ফুলে যায়, ফোসকা পড়ে এবং প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এসময় ১-২ ঘণ্টা পানি ঢালতে হবে।
অনেক সময় ত্বকের উপরিভাগের দুটি স্তরই সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ত্বকের নিচে থাকা মাংসপেশি, রক্তনালি, স্নায়ু ইত্যাদিও আক্রান্ত হয়। একে বলা হয় তিন ডিগ্রি বার্ন। এতে আক্রান্ত স্থানের ক্ষত অনেক বেশি হয়। তাৎক্ষনাত ক্ষতস্থানে পানি ঢালতে থাকুন বা ট্যাপের পানির নিচে বসিয়ে দিন। এরপর আক্রান্ত অংশ পরিষ্কার কাপড় বা গজ ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে একটু উঁচুতে রেখে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে পুরো সময় রোগীকে পানীয় খেতে দিন।
যা করা যাবে না
- চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোনো মলম বা ক্রিম লাগাবেন না
- দগ্ধস্থানের উপর টুথপেস্ট, লবণ বা ডিমের সাদা অংশ দেবেন না। এতে পরবর্তীতে সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে।
- ফোসকা হলে তা ফুটো করবেন না