যেকোনো কারণে যেকোনো সময়েই পেটে ব্যথা হতে পারে। কিন্তু সব ব্যথাকে একরকম ভেবে বসলে হবে না। ব্যথার ধরন অনুযায়ী বুঝে নিতে হবে এই ব্যথা বড় কোনো অসুখের ইঙ্গিত কিনা। যেমন অ্যাপেনডিক্স। বৃহদন্ত্রের সঙ্গে লাগানো এই ছোট থলির আলাদা করে কোনো কাজ নেই। কিন্তু অ্যাপেডিক্সে সংক্রমণ হলে ঠিক সময়ে চিকিৎসা করিয়ে অস্ত্রোপচার না হলে প্রাণসংশয়ও হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, অনেক সময় কোনো খাবারের টুকরা পেটে ঢুকে বা অন্য কোনো কারণে ওই থলির মতো অংশটির মুখ যদি আটকে যায়, তাহলে সেই অংশে সংক্রমণ ঘটে। জায়গাটা ফুলে ওঠে এবং ব্যথা হয়। চিকিৎসার ভাষায়, এটাই অ্যাপেনডিক্স। অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও এই রোগ হতে পারে। সাধারণত ১০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে অ্যাপেনডিক্স বেশি দেখা যায়। এর পরে বয়স যত বাড়বে, অ্যাপেন্ডিক্স আরও ছোট হয়ে শুকিয়ে যায়।
কিন্তু কীভাবে বুঝবেন এর উপসর্গ? চলুন জেনে নিই—
- অ্যাপেনডিক্সে সংক্রমণ হলে তলপেট ফুলে ওঠে, সঙ্গে প্রচণ্ড ব্যথা হয় ও ব্যথা ক্রমশ বাড়তে থাকে।
- অ্যাপেনডিক্স তলপেটের ডান দিকে থাকে। তাই এই ব্যথা সাধারণত, নাভির কাছ থেকে শুরু হয়ে তলপেটের ডান দিকে ছড়াতে থাকে।
- সংক্রমণ শুরুর দিকে কম ব্যথা থাকলেও সঙ্গে বমি হয়। সারাক্ষণই বমিভাব থাকে।
- এই ধরণের সংক্রমণ হলে জিভে কোনো স্বাদই ভালো লাগে না, তাই খাদ্যে অরুচি দেখা দেয়।
- কোনো কোনো রোগীর ক্ষেত্রে এই সংক্রমণের শুরুতে ডায়েরিয়া দেখা যায়। আবার কারও ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যও হতে পারে।
- তলপেটের ডান দিকে ব্যথার সঙ্গে জ্বর হওয়াও এই রোগের অন্যতম লক্ষণ।