• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নবজাতকের গ্যাস ও শিশুর এসডিটি হলে কী করণীয়?


নাইস নূর
প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২২, ১২:০৬ পিএম
নবজাতকের গ্যাস ও শিশুর এসডিটি হলে কী করণীয়?

নবজাতক শিশু কাঁদছে? কিন্তু বুঝতে পারছেন না কেন? চিকিৎসকদের মতে অধিকাংশ শিশু কান্না করে যখন তাদের পেটে গ্যাস হয়। একে বলা হয় ইনফ্যানটাইল কলিক।

নবজাতকের গ্যাসজনিত সমস্যা এবং শিশুর এসডিটির কারণ ও এর সমাধানের উপায় সংবাদ প্রকাশকে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের শিশু নিউরোলোজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাজনীন আক্তার। 

তিনি বলেন, “শিশুর জন্মের পর থেকে প্রথম তিন চার মাস গ্যাসজনিত সমস্যাটা থাকতে পারে। শিশু যখন বুকের দুধ টানে তখন তার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসও খেয়ে ফেলে। আস্তে আস্তে বাতাস তার পেটে জমে ফুলে যায়। তখন শিশুটা কান্নাকাটি করে। এটি শিশুর পেটের গ্যাস জমা হওয়ার অন্যতম লক্ষণ।

গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে  শিশুর মাকে সচেতন হতে হবে। কারণ সঠিক পদ্ধতিতে শিশুকে বুকের দুধ না খাওয়ালেই মূলত এই সমস্যা দেখা দেয়। বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য মায়ের বুকের সঙ্গে লাগানোর জন্য সঠিক নিয়মে পজিশন এবং এটাচমেন্ট সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে।”

অন্যদিকে, তিন কিংবা চার-পাঁচ বছরের শিশুদের হাইপার এসডিটির অনেক সমস্যা হয় বলে জানিয়েছেন ডা. নাজনীন আক্তার। এর কারণ ব্যাখা করে তিনি বলেন, “শিশুরা মুখরোচক খাবার খেতে অনেক ভালোবাসে। দেখা যায়, ঘরের সুষম খাবার না খেয়ে বাইরের খাবার খেতে পছন্দ করে তারা। খোলা আচার, চটপটি, ফুসকা, ডিপ ফ্রাই খাবার, এক তেল দিয়ে বার বার ভাজা খাবার খাবার খাওয়ার কারণেই মূলত তাদের এসডিটি হয়। ফলে পেটে ব্যাথা কিংবা বমি হয়।”

এর সমাধান জানিয়ে তিনি বলেন, “শিশুর হাইপার এসডিটি কোন রোগের জন্য হয় না। বারে বারে এসডিটির জন্য গ্যাসপ্রতিরোধক ওষুধ খাওয়ালে শিশুর অন্ত্রের প্রদাহ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই খাদ্যভ্যাসের দিকে নজর দিতে হবে। একমাত্র সঠিক ভাবে শিশুকে সুষম খাবার খাওয়ালে এসডিটি দূর করা সম্ভব। শিশুর  এসডিটি হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে খুব বেশি সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।”

সবশেষে ডা. নাজনীন আক্তার বলেন, “নবজাতকের গ্যাসজনিত সমস্যা ও শিশুর এসডিটির দিকে অভিভাবকের অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। কোনোভাবেই যেন শিশুর কষ্টকাঠিন্য না থাকে এদিকে খেয়াল করতে হবে। কারণ এগুলো বাড়তে থাকলে হেপাটাইসিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ভবিষ্যতে প্যাট্রিক আলসার রোগও হতে পারে। তাই শিশু জন্মের পর থেকেই হতে হবে সচেতন।”

 

 

 

 

Link copied!