জীবনে একবারও অরুচিতে ভোগেননি, এমন মানুষ কমই আছে। বেশির ভাগ সময়ই জ্বরের একটা উপসর্গ হিসেবে এটা হয়ে থাকে। আবার অনেকসময় ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবী সংক্রমণ হলে মুখে রুচি সাময়িক কমে যায়।
কিন্তু জ্বর সেরে যাওয়ার কিছুদিন পরও যদি এ সমস্যা সেরে না যায় এবং কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে, তাহলে আর অপেক্ষা না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। রুচি বাড়ানোর ওষুধ খাওয়ার চেয়ে বেশি জরুরি হলো, অরুচির কোনো গুরুতর কারণ আছে কি না, তা জানা।
খাবারে অরুচি হওয়ার কারণ
- আন্ত্রিক প্রদাহ, কর্টিসল হরমোনের ঘাটতি, হৃদ্রোগ, হাঁপানি, রক্তস্বল্পতার কারণে খাবারে অরুচি হতে পারে।
- পেপটিক আলসারে পেটে জ্বালাপোড়ার সঙ্গে অরুচি থাকতে পারে।
- অনেক দিন ধরে অরুচি থাকলে রক্তশূন্যতা হতে পারে। আর এর সঙ্গে যদি ওজন হ্রাস পায়, তখন দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। কারণ, অরুচি ক্যানসারেরও একটি লক্ষণ।
- দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণ, যেমন যক্ষ্মা হলে অরুচি হয়।
- আবার মানসিক অবসাদ, বিষণ্নতা বা অতিরিক্ত টেনশনেও অনেকের অরুচি হয়ে থাকে।
- যকৃৎ বা কিডনি সমস্যা থাকাও বিচিত্র নয়। তাই অরুচির লক্ষণটি যদি কয়েক সপ্তাহ ধরে থাকে, তবে অবহেলা না করে আজই একজন ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন।
খাবারে অরুচিতে করণীয়
- নানা রকম ওষুধের কারণে অরুচি হতে পারে। তাই আপনার ওষুধের তালিকাটি নিয়ে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন।
- পর্যাপ্ত পানি পান করুন, বিশ্রাম নিন। প্রয়োজন ঘুম ও মানসিক প্রশান্তিরও।
- খাওয়ার আগে খানিকটা ব্যায়াম করতে পারেন।
- ডাক্তার রুচি বাড়ানোর ওষুধ দিলে খাওয়ার ৩০ মিনিট বা ১ ঘণ্টা আগে খাবেন।
- ভিটামিন বি ১২ ট্যাবলেট বা ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার খাবেন। পছন্দমতো বিশেষ একটি খাবারতালিকা নির্বাচন করুন। যে খাবারে ক্যালরি বেশি থাকে, সেগুলো খান।
- দুধের পরিবর্তে খেতে পারেন মিল্কশেক, সাধারণ চালের পরিবর্তে ব্যবহার করুন সুগন্ধি চাল। লেবু, আচার স্বাদ বাড়াতে অদ্বিতীয়।
- একসঙ্গে বেশি খাওয়া না গেলে অল্প অল্প করেই বারবার খাবার খান।