শিশু ঠিকভাবে বেড়ে উঠার জন্য প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি। পুষ্টির অভাব হলে শিশু তো ঠিক ভাবে বেড়ে উঠেই না, দেখা দেয় নানা রকম রোগ বালাই। নানা কারণে শিশুর শরীরে পুষ্টির অভাব হয়। যেমন-
- শিশুর যদি দীর্ঘ দিন সুষম খাদ্যের অভাব হয় বা খেতে না চায় তাহলে তার শরীরে পুষ্টির অভাব হয়
- পারিবারের মানুষদের যদি শিশুর খাদ্যাভাস সম্পর্কে অসচেতনতা থাকে
- শিশুদের অনেক সময় ক্রনিক রোগ হয়। এর কারণে শিশুর খাবারে অরুচি হয়। তখন অনেক দিন ধরে খেতে না চাইলেও শিশুর পুষ্টিহীনতা দেখা দেয়।
- শিশুর লিভারসহ পরিপাকতন্ত্রের রোগ বা দীর্ঘদিন ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হলে
- শিশুর কৃমি হলে বা অস্বাস্থকর খাবার খেলে
- সঠিকভাবে সব ভিটামিন ঠিকভাবে শিশুকে না দিলেও শিশুর শরীরে পুষ্টির অভাব হয়।
শিশুর শরীরে যদি পুষ্টির অভাব হয় তাহলে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যার কারণে সহজেই শিশু রোগে আক্রান্ত হয়। তাই শিশু যাতে সঠিক পুষ্টি পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে করণীয় গুলো কী কী চলুন দেখে নেই-
- শিশু জন্মের পর থেকে যেন ঠিকভাবে মায়েল বুকের দুধ পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধই পান করবে শিশু। ৬ মাস বয়সের পর থেকে শিশুকে সলিড খাবার দিতে হবে। শিশু যাতে সুষম খাবার পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- শিশুকে সময় মতো সব টিকা দিতে হবে। এতে তার অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি কম থাকবে।
- শিশুর যদি পুষ্টির অভাব হয় তার পুষ্টিহীনতার সঠিক কারণ বের করতে হবে, প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের কাছে নিয়ে সঠিক ডায়েটচার্ট জেনে নিতে হবে।
- শিশুর কোন খাবারে অরুচি হলে সে খাবার জোর করে খাওয়াতে যাবেন না। এতে তার অন্যান্য খাবারেও অরুচি তৈরি হবে।
- শিশুকে খাওয়ানোর সময় ভালোবেসে সময় নিয়ে যত্ন করে খাওয়াতে হবে।
- প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফল, শাকসবজি ও প্রোটিন রাখুন। ভিটামিন সি সহ অন্যান্য ভিটামিন যেন পর্যাপ্ত পরিমানে থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- ভিটামিন, এন্টিঅক্সিডেন্ট, আঁশযুক্ত শাকসবজি, পানি, ফলমূল ও শাক-সবজী পুষ্টির একটি অন্যতম উৎস। এগুলো জীবনের পরবর্তী সময়ে শিশুদের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই শিশুর খাবারে যেন এ ধরণের পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- অনেক সময় শিশুর পেটে কৃমি হলেও খেতে চায় না। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে সঠিক সময়ে কৃমির ওষুধ দিতে হবে।