বড়দের মতো শিশুদেরও কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ সমস্যা। জন্মের পর থেকেই শিশুরা এ সমস্যায় পড়তে পারে। তবে জন্মের ছয় মাস পর এ সমস্যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। অনেক সময় শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য মায়েরা টের পান না। দেখা যায়, পায়খানা নরম হলেও অনেক সময় তা পুরোপুরি পরিষ্কারভাবে না হওয়ার কারণে শিশুদের পেট ফাঁপা থাকে। অরুচি দেখা দেয়। এটি মা-বাবার জন্যও দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
কীভাবে বুঝবেন শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে
সাধারণত সপ্তাহে তিনবারেরও কম মল ত্যাগ করা বা মল ত্যাগ করা কঠিন হলে, মলত্যাগের সময় যদি পেট ব্যথা করে কিংবা শক্ত মলের সঙ্গে যদি রক্ত দেখা যায় তখনই সাবধান হতে হবে।
নানা কারণে শিশুদের এই সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
শিশুদের পর্যাপ্ত হাঁটাচলা বা খেলাধুলার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকা, পর্যাপ্ত পরিমাণ শাকসবজি না খাওয়া, পানি কম খাওয়া, ফাস্ট ফুড খাওয়ার অভ্যাস ইত্যাদি কারণে শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে।
তবে ঘরোয়া প্রতিকার বেছে নিলে ওষুধ ছাড়াই সমস্যার সমাধান করা যায়।
- শিশুর ছয় মাস পর বুকের দুধের পাশাপাশি পরিপূরক খাবারে পর্যাপ্ত সলিউবল ফাইবার (যে ফাইবার পানিতে দ্রবীভূত হয়) ও পানি যেন থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত সবজি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। একটি প্লেটের অর্ধেক সবজি দিয়ে সাজাতে হবে। রঙিন ফলমূলের পরিমাণ খাদ্যতালিকায় বাড়াতে হবে।
- পর্যাপ্ত পানি পান করাতে হবে। তাছাড়া প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে শিশুকে এক গ্লাস গরম পানি খাওয়ান।
- ফলের জুসের পরিবর্তে ফলমূল খাওয়া উপকারী।
- নাশপাতি, আপেলের রস, আলুবোখারা ও লবঙ্গ-গুঁড়া মিশিয়ে চাটনি বানিয়ে শিশুকে খেতে দিন। এটা খেতেও মজা এবং শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করবে।
- সেদ্ধ করা খাবার বেশি করে খাওয়ান।
- শিশু যেন নির্দিষ্ট সময়ে টয়লেট ব্যবহার করে, সেই অভ্যাস গড়ে তুলুন। সে জন্য প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে তাকে কমোডে ১৫ মিনিট বসিয়ে রাখতে হবে। সে মল ত্যাগ করুক আর না করুক।