বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, গর্ভবতী মহিলাদের কোষ বিভাজন এবং প্রোটিন বৃদ্ধিতে জিঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরের কোষ গঠনের জন্য জিংক জরুরি। একজন গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিন ১১ মিলিগ্রাম জিংকের প্রয়োজন। তাই এই সময় সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ডাক্তার জিংক ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়াও এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো জিঙ্কের অভাব পূরণ করে।
মসুর ডাল
উদ্ভিদ–ভিত্তিক প্রোটিনের একটি উৎস হলো–মসুর ডাল। মসুর ডাল আপনার ডায়েটের একটি উপাদান হওয়া উচিত। কারণ এতে জিঙ্ক রয়েছে, যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারী।
কাঠবাদাম
কাঠবাদামের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড, কার্বোহাইড্রেট, খনিজ উপাদান ইত্যাদি। তাই জিঙ্কের অভাব পূরণ করতে চাইলে কাঠবাদাম খেতে বারেন।
কাজু
আয়রন, জিঙ্ক এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজের পরিমাণ বেশি কাজুবাদামে।
তিলের বীজ
তিলের বীজ ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ফাইবারের একটি সমৃদ্ধ উত্স। সালাদ, রুটি, মাফিন এবং অন্যান্য খাবারে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। খাবারটি গর্ভবতী নারী ও শিশুদের জন্য বেশ উপকারি।
পনির
নিরামিষাশীদের জন্য পনির প্রোটিনের একটি উৎস। গর্ভবতী মায়েদের খাদ্যতালিকায় এটি অবশ্যই রাখুন।
মুরগীর মাংস
প্রতি ৮৫ গ্রাম মুরগীর মাংসে ২ দশমিক ৪ মিলি গ্রাম জিঙ্ক থাকে। এ কারণে জিঙ্কের ঘাটতি পূরণে নিয়মিত মুরগীর মাংস খেতে পারেন। এতে অন্য উপকারের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।