গর্ভাবস্থায় নারীদের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। রমজানে রোজা রাখতে চাইলে যত্ন আরও বাড়িয়ে দিতে হবে। গর্ভাবস্থায় শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই গর্ভাবস্থায় রোজা পালনের আগে কিছু পরামর্শ মানতে হবে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা অত্যন্ত জরুরি।
চিকিৎসকের পরামর্শ
গর্ভাবস্থায় রোজা রাখার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে রোজা রাখার বিষয়ে চিকিৎসকের অনুমতি নিতে হবে। গর্ভবতীর শারীরিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে রোজা রাখার বিষয়ে পরামর্শ দেবেন।
শরীরের অবস্থা বুঝতে হবে
গর্ভবতীদের এই সময় শারীরিক পরিবর্তন হয়। রোজা রেখে শারীরিক অবস্থার প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। অস্বস্তি বা অসুস্থতা অনুভূত হলে রোজা ভেঙে ফেলাই ভালো হবে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে পানি ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
মানসিক প্রস্তুতি
রোজা রাখার আগে মানসিক প্রস্তুতিও প্রয়োজন। এই সময় হরমোনাল পরিবর্তন হয়, মানসিক চাপ এবং শারীরিক অস্বস্তি বেড়ে যায়। তাই রোজা রাখার আগে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে।
পুষ্টি গ্রহণ
গর্ভাবস্থায় বেশি করে পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। রোজা ভাঙার পর পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। ডাল, শাকসবজি, ফলমূল এবং প্রোটিন মাংস, মাছ, ডিম খেতে হবে। এতে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে।
পর্যাপ্ত পানি পান
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। সাহরি ও ইফতারে প্রচুর পানি পান করতে হবে। শরীরে কোনোভাবেই পানিশূন্যতা করা যাবে না। এতে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে।
বিশ্রাম নেওয়া
গর্ভাবস্থায় রোজা রাখলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। অধিকাংশ সময় বিশ্রাম নিন। ভারী কাজ করবেন না। রোজা পরিপূর্ণ করতে হলে শরীরে শক্তি বজায় রাখতে হবে।
রোজা না রাখতে পারলে যা করবেন
গর্ভবতী মায়ের জন্য রোজা রাখা বিপজ্জনক হলে এবং শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হলে চিকিত্সক রোজা না রাখার পরামর্শ দিতে পারেন। এক্ষেত্রে ইসলাম ধর্মেও ছাড় রয়েছে। গর্ভাবস্থায় রোজা না রাখলে কাফফারা বা ফিদিয়া দিয়ে রোজা পূর্ণ করা যাবে বলে উল্লেখ রয়েছে।