শীতে গোসলের পানিতে অনেকে লবণ মেশান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানিতে লবণ মিশিয়ে গোসল করার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যেমন, লবণ পানিতে গোসল করলে শরীরে রোমকূপের মধ্য দিয়ে একাধিক প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ প্রবেশ করে।
ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম ইত্যাদি। ফলে ত্বক থাকে দীপ্তিময়। নিয়মিত লবণ পানিতে গোসল করলে ত্বকের বলিরেখা বা বয়সের ছাপ পড়ার আশঙ্কা কমে যায়। তাছাড়া, নিয়মিত লবণ পানিতে গোসল করলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রেখে ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে।
লবণ পানিতে নিয়মিত গোসল করার অভ্যাস শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতেও সাহায্য করে। বাত বা আর্থারাইটিসের ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রেও লবণ পানিতে গোসল কার্যকরী। এই পানিতে গোসল করলে শারীরিক ক্লান্তি, অবসাদ কেটে যায় সহজেই। ফলে রাতে ঘুম ভালো হয়।
লবণ পানিতে গোসল করলে অনিদ্রার সমস্যাও অনেকটাই কেটে যাবে। শীতকালে বেশিরভাগ মানুষেরই ঘন ঘন মেজাজ খারাপ হতে থাকে। গোসলের সময় পানিতে লবণ মিশিয়ে গোসল করলে মনের বিষণ্ণতা কমবে।
শীতে অনেকেই গাঁটের ব্যথায় ভোগেন। বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এক্ষেত্রে হালকা গরম পানিতে গোসল করলে অনেকটা আরাম পাওয়া যাবে। শীতে ত্বকের রুক্ষতা কমাতে পারে লবণ মেশানো পানি।
তবে সবচেয়ে ভালো হয় গোসলের পানিতে যদি সামুদ্রিক লবণ মেশানো যায়। এতে খনিজের পরিমাণও অনেকটাই বেশি থাকে। তাই এর সুফলও পাওয়া যায় দ্রুত।