প্রায় সব রান্নাতেই পেঁয়াজ ব্যবহার হয়। এমনকি সালাদ কিংবা ভর্তা বানাতেও পেঁয়াজ লাগবেই। পেঁয়াজের ঝাঁঝ ছাড়া যেন খাবারের স্বাদই আসে না। চাইনিজ কিংবা দেশীয় রান্নায় পেঁয়াজের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয়। তাই পেঁয়াজ প্রতিদিনের রান্নার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠেছে।
সাধারণত বাজারে দুই ধরনের পেঁয়াজ পাওয়া যায়। সাদা রঙের পেঁয়াজ আর গোলাপি বা লাল রঙের পেঁয়াজ। যদিও সবসময় লাল রঙের পেঁয়াজের ব্যবহারই বেশি হয়। তবে সাদা পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ আরও বেশি। অর্থাৎ সাদা পেঁয়াজ খেলে শরীরে স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান মিলবে। চলুন জেনে আসি, সাদা পেঁয়াজ খেলে কী উপকার পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞরা জানান, সাদা পেঁয়াজ খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা কমে যাবে। কারণ এটি অ্যালকালাইন। যা খাবারে মেশানো হলে রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেটের অ্যাসিডের ভারসাম্য ঠিক করে। এটি হজমশক্তিও বাড়িয়ে দেয়। সাদা পেঁয়াজে থাকা ফাইবার মেটাবলিজম বাড়ায় বলে হজমশক্তি বাড়ে। যারা লাল পেঁয়াজে অ্যাসিডিটির সমস্যা ভোগেন, তারা সাদা পেঁয়াজ খেলে উপকার পাবেন।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, সাদা পেঁয়াজ সংক্রমণ সারিয়ে তোলে। এতে প্রদাহরোধকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এতে অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য থাকায় চোখ, নাক ও কানের সংক্রমণ সারিয়ে দেয়।
শুধু তাই নয়, সাদা পেঁয়াজ নিয়মিত খেলে শ্বাসযন্ত্রের অসুখ সারিয়ে তুলবে। পেঁয়াজে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা শরীরের প্রদাহ কমিয়ে দেবে। ঠান্ডাজনিত রোগ সেরে উঠতে সাদা পেঁয়াজের রসে মধু মিশিয়ে খান। এটি ফ্রিজে রেখে খেতে পারেন। তবে ৫ ঘণ্টার বেশি রাখা যাবে না। বিশেষজ্ঞরা জানান, সাদা পেঁয়াজের রস আর মধু বুকে মালিশ করে সুতির কাপড় দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখলে বুকে জমা কফ তরল হয়ে বেরিয়ে আসে।
এছাড়াও সাদা পেঁয়াজ খেলে শরীর ঠান্ডা থাকবে। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা করে। প্রদাহজনিত সমস্যা কমায়। পাশাপাশি এটি হার্টের দেখভাল করে। কারণ এটি উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। আবার সাদা পেঁয়াজে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় শরীর টক্সিন বের করে দেয়। প্রতিটি কোষের রক্তচলাচল সচল থাকে। রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি থাকে না।
সাদা পেঁয়াজ এবং লাল পেঁয়াজের মধ্যে পার্থক্যের কথা উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা জানান, সাদা পেঁয়াজের অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণ লাল পেঁয়াজের থেকে অনেক বেশি থাকে। আবার সাদা পেঁয়াজে ঝাঁঝালো স্বাদও কম থাকে। তাই সাদা পেঁয়াজ খাওয়ার উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়।