সকালের অনেকেরই নাস্তার টেবিলে কলা থাকে। দামেও সস্তা। সঙ্গে পুষ্টিগুণে ভরপুর। আবার কলা যেমন পুষ্টিকর, তেমনই সুস্বাদু। কাঁচাকলা আর পাকাকলা এই দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কলা অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখে। কলাতে মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের হাড় কে শক্ত, দৃঢ় এবং উন্নত করে। নিয়মিত কলা খেলে দেহের নানা ঘাটতি পূরণ করে আমাদের সুস্থ থাকায় সহায়ক হবে। এটি বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা অর্জনেও সহায়ক। রয়েছে আরও অনেক গুণ-
- কলা ফাইবারে ভরপুর। ফলে তা হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিরাময় করে কলা। অন্ত্রে থাকা ‘ভালো’ ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এই ফল।
- নিয়মিত কলা খেলে ইমিউনিটি সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কারণ কলাতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যেরকম ফ্ল্যাভোনয়েড। যা সাহায্য করে আমাদের শরীরের ফ্রি রেডিকেল কে কম করতে যার ফলে আমাদের শরীরের কোষগুলি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।
- কলা অনেক্ষণ পেটে থাকে আবার ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে তাই কাজের ফাঁকে কলা খেতে পারেন
- পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের যুগলবন্দি অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ ঠেকিয়ে রাখে। হাড়ের জোর বাড়িয়ে তোলে। অস্থিসন্ধির নমনীয়তা বজায় রাখতেও সাহায্য করে কলা।
- যাদের ওজন অতিরিক্ত কম, তাদেরও কলা খেতে বলা হয়। কলায় ক্যালরির পরিমাণ অন্যান্য ফলের তুলনায় অনেকটা বেশি। কলা যত হলুদ হবে ক্যালরির পরিমাণ তত বাড়বে।
- কলার উচ্চ পটাশিয়াম মাত্রার কারণে শরীরের পটাশিয়ামের অভাব থাকলে বা হাইপোক্যালেমিয়ায় ভুগলে নিয়মিত কলা খেতে হবে।
- ছোট বাচ্চাদের নতুন নতুন শক্ত খাবার খাওয়ানোর সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফল হিসেবে কলা খাওয়ানো যেতে পারে।
- কলাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে। ফলে নিয়মিত কলা গেলে দেহের রক্ত শূন্যতা দূর হয়ে যায়।
তবে পটশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকার কারণেই, যাদের রেনাল ফেলিয়োর রয়েছে বা কোনও অসুখের কারণে পটাশিয়াম খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে, তাদের কলা না খাওয়াই ভাল।